আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাশার দান উল্টে গেল শেষ রাতে! দু'দিন আগেও বিশ্বের তাবড় রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা তাকে সেরার আসনে রাখেননি। মার্কিন প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা সেই হিলারিকেই এগিয়ে রাখার পক্ষে ছিলেন অনেকে। কিন্তু গণতন্ত্রের রায় সব সময় বিশেষজ্ঞদের বক্তব্যের উপর নির্ভর করে না।
বিশ্বের বহু দেশে বহু নির্বাচনেই তা প্রমাণিত হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়-ও সেই ধ্বজাই উড়িয়ে রাখল। জয় ঘোষিত হওয়ার পরেই দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানালেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম ভাবী-প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
জয়সূচক বক্তৃতায় সেই আগ্রাসী ট্রাম্পকে দেখালো অনেকটাই সংযত। মা-বাবা, স্ত্রী-সহ পরিবারকে ধন্যবাদ জানিয়ে ট্রাম্প বললেন, 'মানুষ বলছে, এটা ঐতিহাসিক জয়।' হাততালি আর উল্লাসে ফেটে পড়ল গোটা হল। প্রথমেই প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিন্টনের প্রসঙ্গ তুললেন। জানালেন, 'এই মাত্র হিলারি ক্লিনটনের ফোন পেলাম। জয়ের শুভেচ্ছা জানালেন। উনি খুব শক্ত লড়াই লড়েছেন।'
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার শপথ করে ট্রাম্প বললেন, 'আমেরিকাকে নতুন দিশা দেওয়ার সময় এসেছে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। প্রত্যেক মার্কিন নাগরিকের স্বপ্ন পূরণ হবে।' মার্কিন নাগরিকদের প্রতি প্রেসিডেন্টের বার্তা, 'গোটা দেশকে এক সুতোয় গাঁথতে হবে। আপনাদের সহযোগিতা চাই। বিশ্বের সেরা রাষ্ট্রের খেতাব পুনরুদ্ধার করবই। আসুন বৃহত্ ও সাহসী স্বপ্ন দেখি। যারা আমায় ভোট দেননি, তাদেরও বলছি, আসুন নতুন রাষ্ট্র গড়ি।'
ট্রাম্পকে যারা 'যুদ্ধবাজ' বলে সমালোচনা করেছিলেন, তাদের প্রতি ট্রাম্পের বার্তা, 'যুদ্ধ নয়, আমি শান্তির পক্ষে। বিশ্বের সব দেশকে নিয়ে এগোবো।' এ যেন এক অন্য ট্রাম্প! সেই চেনা পরিচিত আগ্রাসী পথে না হেটে উল্টো সুরেই কথা বললেন ট্রাম্প। হয়ত একেই বলে দায়িত্বের ভার। হ্যাঁ তার ওপরেই দায়িত্ব পড়ছে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্র পরিচালনার। সূত্র : ইন্ডিয়া টাইমস ও নিউইয়র্ক টাইমস।
৯ নভেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি