আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল ঘোষণার পর থেকেই ক্যালিফোর্নিয়ায় ‘ক্যালেক্সিট’এর দাবি উঠেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া পরিচিতি পেয়েছিল ‘ব্রেক্সিট’ নামে। সেই নামের আদলে ক্যালিফোর্নিয়াবাসী এই আন্দলোনের নাম দিয়েছে ‘ক্যালেক্সিট’।
২০১২ সালেই অনলাইন পিটিশনের মাধ্যমে ‘ক্যালেক্সিট’এর দাবি তোলা হয়। কিন্তু সে সময় পরিস্থিতি শান্ত থাকায় বিচ্ছিন্ন হওয়ার দাবিটি অচিরেই বাতিল হয়ে যায়। খবর দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের।
এরপর ট্রাম্প মননয়ন পাওয়ার পর থেকেই মেক্সিকোর সীমান্তবর্তী প্রদেশ ক্যালিফোর্নিয়ার আলাদা হওয়ার দাবিতে সর্বপ্রথম প্রচার চালিয়েছিল ‘ইয়েস ক্যালিফোর্নিয়া ইন্ডিপেনডেন্স’ নামের একটি গ্রুপ।
ট্রাম্পের জয়ের পর তারা টুইটারে একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছে, ‘ক্যালিফোর্নিয়া একটি দেশ, কোনো প্রদেশ নয়’ এই প্রচারণাকে সফল করে ক্যালিফোর্নিয়াকে স্বাধীন করতে হবে।
‘ইয়েস ক্যালিফোর্নিয়া ইন্ডিপেনডেন্স’ সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট লুইস মেরিনেল্লি জানিয়েছেন, তারা ক্যালিফোর্নিয়ার সার্বভৌমত্ব দাবি করছেন। স্কটল্যান্ড যে প্রক্রিয়ায় বিট্রেনের সঙ্গে যুক্ত আছে তারও সেভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত থাকতে চান। ক্যালিফোর্নিয়ার স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে তারা ২০১৯ সালে গণভোট আয়োজনেরও প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তবে মার্কিন সংবিধানে নতুন প্রদেশ যুক্ত করার আইন থাকলেও কোনো প্রদেশ আলাদা হতে চাইলে কোন পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই।
এমনিতে ক্যালিফোর্নিয়ার অর্থনীতি অনেক বেশি শক্তিশালী। বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়ার জিডিপির বার্ষিক আর্থিক মূল্য ২.৫ ট্রিলিয়ন ডলার। তাদের অর্থনীতি ফ্রান্সের চেয়ে শক্তিশালী। ক্যালিফোর্নিয়ার জনসংখ্যাও ইউরোপের দেশ পোল্যান্ডের চেয়ে বেশি।
তাই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত না থাকলেও যে তাদেরকে আর্থিক দিক দিয়ে তেমন সংগ্রাম করতে হবে না তা তাদের ভালো মতোই জানা আছে।
১০ নভেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এআর