শুক্রবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৬, ০৩:৩২:১২

৭৫ মামলা নিয়ে কাঠগড়ায় ট্রাম্প

৭৫ মামলা নিয়ে কাঠগড়ায় ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রশাসনের দায়িত্ব নেয়ার আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘাড়ে চেপে বসেছে ৭৫টি মামলা। মন্ত্রণালয় সাজানো থেকে শুরু করে প্রেসিডেন্সির প্রথম দিন অনেক ব্যস্ত থাকতে হবে তাকে।

এতকিছু সামলানোর মধ্যেও আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে সদ্য নির্বাচিত এ প্রেসিডেন্টকে। মার্কিন রিয়েল এস্টেট মোগল থেকে রাজনীতির শীর্ষে ওঠা এ নেতা আদালত ভবনের সঙ্গে বেশ পরিচিত। জুন মাসে ইউএসএ টুডের খবরে বলা হয়েছিল, গত ৩০ বছরের মধ্যে প্রায় ৪ হাজার মামলার মুখোমুখি হয়েছেন তিনি।

দ্য ডেইলি বিস্টের খবরে বলা হয়েছে, আগের হিসাবে এবারের মামলার সংখ্যাটা খুবই সীমিত। হোয়াইট হাউসে ঢোকার আগেই ৭৫ ফৌজদারি মামলার বোঝা ঘাড়ে নেয়া প্রথম প্রেসিডেন্ট হলেন ট্রাম্প। তার বিরুদ্ধে করা মামলার বেশির ভাগই তেমন গুরুতর নয়।

আদালতে বিচারাধীন ২০টি মামলার মধ্যে প্রায় ডজনখানেক মামলায় আসামি করা হয়েছে ট্রাম্পকে। তার সঙ্গে জড়ানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্ট, বারাক ওবামা, হিলারি ক্লিনটন, এমনকি প্রয়াত ওয়াল্ট ডিজনিকেও। মার্কিন ব্যবসায়ী ডিজনি ১৯৬৬ সালে মারা যান।

ধারণা করা হচ্ছে, বাদীরা মানসিকভাবে অসুস্থ। যদিও সবার মামলা করার অধিকার রয়েছে। তবে কিছু কিছু মামলা ট্রাম্পকে ভোগাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ট্রাম্প বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের করা একটি মামলার শুনানি আগামী তিন সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে হবে বলে জানা গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ট্রাম্পের অর্থনৈতিক প্রতিশ্রুতি গরিব শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে কোনো কাজে আসেনি। ২০১০ সালে ‘লো বনাম ট্রাম্প’ শীর্ষক এ প্রতারণা মামলাটি দায়ের করা হয়। ২০১৩ সালে ট্রাম্পের অনিবন্ধিত একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৪ কোটি ডলার অনুদান তোলার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

নিউইয়র্কের সিনেট অ্যাটর্নি জেনারেলের কর্মকর্তা অ্যামি স্পিটালনিক এ মামলাটি করেন। পরে চলতি বছরের মার্চ মাসে এ মামলাটির বিচার চলবে বলে রায় দেন আদালত। যদিও এর বিরুদ্ধে আপিল করেছেন ট্রাম্প।

২০১৩ সালে দায়ের করা ‘কোহেন বনাম ট্রাম্প’ শীর্ষক আরেকটি মামলার প্রমাণ খুঁজছেন আইনজীবীরা। তবে শুনানির তারিখ এখনও ঠিক হয়নি। করাপ্ট অর্গানাইজেশন অ্যাক্ট লংঘন করায় ট্রাম্পের স্কুলের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়েছে।

ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালীন টেলিফোন কাস্টমার প্রটেকশন অ্যাক্ট লংঘন করার অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। শিকাগোর আদালতে ২৯ নভেম্বর এ মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। অযাচিত বার্তা প্রেরণের দায়ে অভিযুক্ত হয় ট্রাম্পের নির্বাচনী শিবির।

সম্প্রতি ১০০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ মামলা করেছেন নিউইয়র্কের এক ভোটার লুইস টাফুটো। তার বক্তব্য হচ্ছে- ‘আন্ডার এডুকেটেড ভোটার্স’ অর্থাৎ অর্ধশিক্ষিত ভোটারদের জীবনমান বিপদ বা ঝুঁকির মুখোমুখি এই ভ্রান্ত ধারণায় ট্রাম্প তাদের প্রতারিত করেছেন। এটি মামলার ২৫ পৃষ্ঠার বিবরণীতে তুলে ধরা হয়েছে। নির্বাচনের আগের দিন সোমবার তা কোর্টে দাখিল করা হয়।

ওই মামলায় লুইসের দাবি- ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার অনুপযুক্ত এবং একই সঙ্গে ভোটারদের উত্ত্যক্ত করাসহ অপরাপর বিষয়ে দোষী। ৪০ লাখ ডলারের ক্ষতিপূরণ চেয়ে আরেকটি মামলা করেছেন রিপাবলিকান দলের কনসালট্যান্ট চেরিল জ্যাকোবাস। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তার ক্যারিয়ার ধ্বংস ও টুইটারে তাকে ‘পুতুল’ বলে গালি দেয়ার অভিযোগ করেছেন মার্কিন এ নারী।

এছাড়া ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন এফরেইন গালিসিয়া। ২০১৫ সালে ট্রাম্পের প্রার্থিতা হওয়ার সময় ট্রাম্প টাওয়ারের বাইরে বিক্ষোভকালীন তার নিরাপত্তা গার্ডের দ্বারা হয়রানির শিকার হন তিনি।-যুগান্তর

১১ নভেম্বর,২০১৬/এমটি নিউজ২৪ ডটকম/সবুজ/এসএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে