আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির অধীনে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক শক্তিশালী থাকার সম্ভাবনা দেখছেন ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রিচার্ড ভার্মা। তিনি মনে করেন, এর পেছনে অন্যতম কারণ হলো প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অধীনে দুদেশের মধ্যে যে সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে তা ‘অপরিবর্তনীয়’।
দুদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরালো থাকবে এ কথা কয়েকবার বলেন মি. ভার্মা। তবে তিনি প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম উল্লেখ করেননি একবারও। এ খবর দিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। নয়া দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে রিচার্ড ভার্মা বলেন, ‘আমাদের ভবিষ্যত নিয়ে আমি অত্যন্ত আশাবাদী। আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমাদের মধ্যকার শক্তিশালী সম্পর্ক পরবর্তী মার্কিন প্রশাসনেও বজায় থাকবে।’
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবরে আরো বলা হয়, কিছু বিশেষজ্ঞের উদ্বেগ, ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া, চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে মার্কিন সম্পর্ক নতুন করে স্থাপনের চেষ্টা করলে তা এ অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক শৃঙ্খলাকে অনিশ্চিত করে তুলবে।
গত মাসে ট্রাম্প বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত ‘সেরা বন্ধু’ হবে। তবে, নির্বাচনী প্রচারণাকালে তিনি বিভিন্ন সময় বেশ কিছু বৈশ্বিক বাণিজ্য চুক্তি থেকে সরে আসা ও অভিবাসন কমিয়ে আনার কথা বলেছেন। ভারতের মতো বিভিন্ন দেশে চলে যাওয়া চাকরি ফিরিয়ে আনার উপায় খোঁজার কথাও বলেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার নয়া দিল্লিতে বক্তব্য রাখার সময় মি. ভার্মা ইন্দো-মার্কিন সম্পর্ক পাল্টে যাবে না বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ভারত শুধু আউটসোর্স করার গন্তব্য- এমন দৃষ্টিভঙ্গি সেকেলে। আনুমানিক ৫০০ মার্কিন প্রতিষ্ঠান ভারতে অফিস চালু করেছে বা বিনিয়োগ করেছে। উষ্ণ বাণিজ্য সম্পর্ক মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভারতে নতুন মার্কেট শেয়ার অর্জন করতে সুযোগ করে দিয়েছে।
মি. ভার্মা বলেন, ‘এটা মার্কিন কর্র্মী, বিনিয়োগকারী এবং ভারতীয়দের জন্য ভালো। বিশ্বায়নের সুবিধা নিয়ে সংশয়ের এই যুগে ইন্দো-মার্কিন সম্পর্কের সফলতা উজ্জ্বল উদাহরণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরো বলেন, সামনের বছরগুলো যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষাগ্রহণে আগ্রহী ভারতীয় শিক্ষার্থীদের ভিসা পাওয়ার সংখ্যা বাড়বে। তিনি দক্ষ কর্মীদের জন্য এইচ-১বি ভিসার কথা উল্লেখ করেননি, যেটা ভারতীয়দের কাছে জনপ্রিয়। আর মি. ট্রাম্পের প্রচারণার একটি টার্গেট ছিল এই ভিসা প্রসঙ্গ। এমজমিন
১১ নভেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি