আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কালো টাকার পর এবার মোদীর নজর বেনামি সম্পত্তির দিকে। ধীরে ধীরে আরও কড়া হবে দাওয়াই, গোয়ার মঞ্চ থেকে হুঙ্কার ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গত ৮ নভেম্বর দেশের আর্থিক হাল ফেরাতে ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মোদী। এ বার তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন, দেশ থেকে দুর্নীতি, কালোবাজারি হঠাতে আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাঁর ভাষায়, ‘‘দেশের হাল ফেরাতে ডোজ বাড়াচ্ছি।’’
এ দিন আত্মবিশ্বাসের সুর ঝড়ে পড়ছিল তাঁর কন্ঠ থেকে। তিনি জানিয়ে দেন, কালো টাকার সমস্যা দূর করতে নোট বদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখানেই শেষ নয়। দেশের আর্থিক প্রেক্ষাপটকে উপরের দিকে তুলে আনতে বেনামি সম্পত্তির দিকে কড়া নজর রাখতে চলেছে কেন্দ্র। যে সময় বিরোধীদের দাবি, বিজেপি’র নেতা-মন্ত্রীদের একাংশের পকেটেই রয়েছে কালো টাকা। তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী এ দিন বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষের স্বার্থে কাউকেই রেয়াত করা হবে না। কালো টাকায় মহীরুহ হয়ে ওঠা ব্যক্তিদেরকেও রাখা হবে সরকারের আতস কাচের নীচে।’’
প্রধামন্ত্রী আরও জানান, গত দশ মাস ধরে খুব গোপনে একটি ছোট্ট ‘টিম’ তৈরি করে নোট বদল প্রক্রিয়ার ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করা হয়েছে। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটির গোপনীয়তা ভীষণ জরুরি ছিল। নয়তো রাঘব বোয়ালরা আঁচ পেয়েই কালো টাকা সরানোর কাজে লেগে পড়ত। এখনও যদি কেউ সেই চেষ্টা চালায়, তবে তারা মহা মুশকিলে পড়বেন বলে হুঁশিয়ারি মোদীর। জাপান সফরে থাকাকালীন বিরোধী খোঁচায় জেরবার ছিল বিজেপি শিবির। রব উঠেছিল, যে সময় দেশের মানুষ নোট বদল করতে গিয়ে নাকানি-চোবানি খাচ্ছে, অর্থ-সঙ্কটে নাজেহাল দেশের মানুষ, তখন মোদী দেশের বাইরে। ক্ষমতায় আসার আগে বিদেশ থেকে কালো টাকা ফিরিয়ে আনবেন বলে দাবি জানালেও, সবই ছিল মোদীর ভাঁওতা এমনও টিপ্পনিও ছিল অনেকের গলায়। বিদেশ থেকে ফিরেই প্রত্যয়ী মোদী বলেন, ‘‘দেশে কালো টাকা ফিরবে। আর সেই জন্য কয়েকটি দেশের সঙ্গে ইতিমধ্যেই চুক্তি সম্পন্ন। বিদেশে টাকা পাচার হলে তার খবর তৎক্ষণাৎ চলে আসবে। যাতে দেশে আর্থিক অবস্থা অনেক বেশি চাঙ্গা হবে।’’ নোট বদল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ৫০ দিন ধার্য করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার পরেই সারা দেশের আর্থসামাজিক চিত্রটার আমূল পরিবর্তন ঘটবে বলে দাবি নরেন্দ্র মোদীর।-আনন্দবাজার
১৩ অক্টোবর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস