আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সোমবার এক নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী হলেন ভারতের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহাকারীরা। এদিন আরও একবার টুইটে নরেন্দ্র মোদিকে তীব্র আক্রমণ করলেন মমতা ব্যানার্জী।
এই টুইটার পোস্টের সময় উত্তরপ্রদেশের জনসভায় বক্তব্য রাখছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বক্তব্যের মধ্যেই নোট বাতিলকাণ্ডে তিনি দাবি করেন, গরীবরা এখন নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছেন, আর কালো টাকার কারবারিরা ঘুমের ওষুধ খাচ্ছেন। মমতা এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে সঙ্গে সঙ্গে টুইট করেন।
টুইটারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘নরেন্দ্র মোদি যেভাবে গরীব মানুষের নিশ্চিন্তি ঘুমের কথা বলছেন তা সাধারণ মানুষকে হেয় করার সামিল এবং এটা সাধারণ মানুষের কাছে অপমানজনক।’ দ্বিতীয় টুইটে মমতা লেখেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিনীত আবেদন, তিনি যেন এভাবে কাউকে হেয় না করেন।’
৮ নভেম্বর রাতে নরেন্দ্র মোদির নোট বাতিল সিদ্ধান্তের পরই তীব্র ভাবে আক্রমণ করেছিলেন মমতা । অভিযোগ করেছিলেন, এতে গরীব মানুষরা অসুবিধায় পড়বে। কিন্তু, মোদি বা তার সহযোগী কেউই মমতার মন্তব্যকে আমল দিতে চাননি। উল্টো তারা মমতার বিরুদ্ধে সঙ্কীর্ণ রাজনীতি করার অভিযোগ আনেন। এরপর শনিবার ব্যাঙ্কে ব্যাঙ্কে লাইনে দাঁড়ানো মানুষদের সঙ্গে নিজে গিয়ে কথাও বলেন।
নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে মোদির তীব্র সমালোচনা শুরু করাই নয়, নোট বাতিলকাণ্ডের জেরে যে সমস্যা আর ভোগান্তির মধ্যে দেশবাসী পড়েছেন তা নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলারও আহ্বান জানান মমতা। এর জন্য বিরোধী দলগুলিকে মতাদর্শের বিভেদ ভুলে এক হতেও আহ্বান জানান তিনি। মোদির বিরুদ্ধে ফের একবার জরুরি অবস্থা ফিরিয়ে আনার অভিযোগও আনেন তিনি।
সোমবার উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে মোদি নিজে অবশ্য জরুরি অবস্থা জারির অভিযোগ উড়িয়ে দেন। সেইসঙ্গে মমতা ব্যানার্জীর নাম না করেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির অবস্থানকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করেন। তবে, নোট বাতিলকাণ্ডে জনগণের ভোগান্তিু দেখে তিনি যে আর চুপ করে বসে থাকবেন না তা বুঝিয়েই দিয়েছেন মমতা। এবেলা।
১৪ নভেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি