আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে পাশাপাশি মন্দির, মসজিদ দুই-ই তৈরি হোক। অযোধ্যা বিতর্ক সমাধানে নতুন প্রস্তাব দিয়ে ফৈজাবাদের ডিভিশনাল কমিশনারকে পিটিশন হিন্দু ও মুসলিম, দুই ধর্মের প্রায় ১০ হাজার মানুষের। এহেন উদ্যোগের নেতৃত্বে রয়েছেন হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারক পালক বসু।
তাঁদের এই উদ্যোগ সুপ্রিম কোর্টের নজরে পড়বে বলে আশাবাদী প্রাক্তন বিচারক বসু। ১০, ৫০২ জনের সই সম্বলিত পিটিশনটি পেশ হয়েছে গতকালই। প্রাক্তন বিচারকের বক্তব্য, ফৈজাবাদের ডিভিশনাল কমিশনারের মাধ্যমেই সুপ্রিম কোর্টে সমঝোতা প্রক্রিয়ার উদ্যোগ নিয়েছি আমরা। তিনিই আইনি অনুমোদনপ্রাপ্ত ব্যক্তি তিনিই। আশা করছি, সাধারণ মানুষের শান্তি, সৌহার্দ্য তৈরির আকাঙ্খাকে সম্মান করবে সুপ্রিম কোর্ট। মন্দির, মসজিদ-দুটিই নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তাই।
অযোধ্যার বিতর্কিত জমির রিসিভার ডিভিশনাল কমিশনার সূর্য প্রকাশ মিশ্র বলেছেন, একটি স্মারকলিপি ও একাধিক সই সমেত কয়েকগুচ্ছ ফটোকপি পেয়েছি। তবে কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি এখনও।
এলাহাবাদ হাইকোর্ট ২০১০-এর ৩০ সেপ্টেম্বরের রায়ে যে জমিতে এককালে বাবরি মসজিদ ছিল,তার দু ভাগ দুই পক্ষের হাতে তুলে দেয়। একটি অংশ দেওয়া হয় নির্মোহী আখড়া ও রামলালার ‘বন্ধু’-কে। বাকি অংশটি পায় উত্তরপ্রদেশের সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড।
অতীতে বাবরি মসজিদ মামলার মূল মামলাকারী হাসিম আনসারির সঙ্গে আদালতের বাইরে বিরোধ নিরসনে আলোচনা হয়েছিল আখড়া পরিষদ সভাপতি মহন্ত জ্ঞান দাসের। প্রায় ৭০ একরের বিতর্কিত কাঠামোয় মন্দির, মসজিদ দুটিই তৈরি করা যায় কিনা, সে ব্যাপারে কথা হয়েছিল। প্রস্তাব ছিল, ১০০ ফুট উঁচু দেওয়াল থাকবে মন্দির, মসজিদের মাঝখানে। যদিও এই প্রস্তাব হাইকোর্টের রায়ের প্রতি অসম্মান বলে আপত্তি জানায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি)। আর গত জুলাইয়ে মারা যান আনসারিও।-এবিপি আনন্দ
১৪ অক্টোবর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস