আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দেশে মোদি সরকার ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করায় সৌদি আরব–সহ উপসাগরীয় দেশগুলিতে ভারতীয় উদ্যোগী, বণিকরা এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও, ওই দেশগুলিতে কর্মরত বহু ভারতীয় বেশ সমস্যায় পড়েছেন।
দুবাইয়ে অর্থ লেনদেনকারী সংস্থা এক্সপ্রেস মানি–র চিফ অপারেটিং অফিসার সুধেশ গিরিয়ান বললেন, কালো টাকা ও জাল নোট নির্মূল করতে অত্যন্ত সাহসী এবং সুদৃঢ় পদক্ষেপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এতে বৈধ আয়ের মানুষজন উৎসাহিত হবেন, কর ফাঁকি দিয়ে যারা কালো টাকার কুমির হয়ে ওঠে, তারা হবে ভীত।
গিরিয়ান বললেন, আন্তর্জাতিক ভাবেই অর্থের প্রবাহের স্বচ্ছতা প্রয়োজন, রাষ্ট্রগুলির রাজস্বের বিষয়টির সঙ্গেও এই স্বচ্ছতা জড়িত। বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি, কম্পিউটার রপ্তানি সংস্থা আল মায়া গোষ্ঠীর ডিরেক্টর কমল ভাচানি বললেন, মোদির এই পদক্ষেপে ভারতে ব্যাঙ্কগুলির বিরাট উপকার হবে, তবে ধাক্কা লাগবে রিয়েল এস্টেটের ব্যবসায়। যেখানেই তরল টাকার প্রবাহ, সেখানেই ভীতির সঞ্চার হবে। বাজারে প্রাথমিক বিভ্রান্তি দেখা দিলেও ভারতীয় টাকার শক্তি ও মর্যাদা বাড়বে।
সৌদির দাম্মামে ভারতীয় আই টি ইঞ্জিনিয়ার আরশাদ হুসেন বললেন, আরব দেশগুলিতে কর্মরত বহু অনাবাসী ভারতীয় ঘোর সমস্যায় পড়ে গেছেন। এসব দেশে মুদ্রা পরিবর্তনের যে সংস্থাগুলি রয়েছে, তাদের মাধ্যমে দেশে স্বজনদের কাছে টাকা পাঠান তারা। আরব দেশগুলির মুদ্রা বদল করে তারা ভারতে ভারতীয় টাকা নির্দিষ্ট জনকে দিয়ে দিতো। এসব লেনদেন ৫০০, ১০০০ টাকার নোটে হত। আরবে বিভিন্ন ব্যাঙ্কেও অনাবাসীরা আমানত খুলে মুদ্রা বদলের, দেশে টাকা পাঠানোর এই সুবিধা পেতেন এই সেদিনও।
আরশাদ জানালেন, ভারতে ৫০০, ১০০০ টাকা বাতিল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুদ্রা পরিবর্তনের সংস্থাগুলি, ব্যাঙ্কগুলি ভারতীয় টাকার এই লেনদেন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রেখেছে। মাথায় হাত পড়েছে আরবে অনাবাসী ভারতীয়দের।
আরশাদ বললেন, বাড়িতে টাকা দিতে বছরে একাধিকবার দেশে যাওয়া সম্ভব নয়। তাছাড়া যা নিয়ম, তাতে ৮ হাজার টাকার সমমানের মুদ্রার বেশি নিয়ে যাওয়া যায় না। দোহায় কর্মরত সুরেখা প্রসাদ বললেন, উৎসবের মরশুমে এই সেদিন দেশে গিয়ে আপনজনদের, ছোটদেরও সবই তো ৫০০, ১০০০–এর নোট দিয়েছি। সে–সবেরই বা কী হবে! আজকাল
১৪ নভেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি