আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাষ্ট্রপতির দরবারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়রা ৫ পাতার স্মারকলিপি তুলে দিয়েছেন। এই স্মারকলিপি-তে নোট বাতিলকাণ্ডে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছেন এবং সেইসঙ্গে বেশ কয়েকটি বিষয়ে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বেরিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমের সামনে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন। আর এই ক্ষোভ প্রকাশে একাধিক অভিযোগ আনেন, যার অধিকাংশই রাষ্ট্রপতিকে জানিয়ে এসেছেন বলেও জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অভিযোগগুলি হল:-
১. বাজারে যথেষ্ট টাকার জোগান না দিয়ে কী ভাবে নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হল?
২. মমতার মতে ‘এটিএম’ ‘মানে অল টাইম মানি’, এখন ‘আয়গা তব মিলেগা।’
৩. টাকা না থাকায় কেউ কিছু কিনতে পারছেন না। এমনকী, খাবার কেনার অর্থটুকুও অনেকে পাচ্ছেন না। ফলে অনেকেই অভুক্ত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।
৪. দেশজুড়ে অর্থনৈতিক বিপর্যয় তৈরি হয়েছে বলেও রাষ্ট্রপতির কাছে নাকি অভিযোগ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।
৫. প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত ‘সাংবিধানিক সঙ্কট’ তৈরি করেছে।
৬. নোট বাতিলকাণ্ডের জেরে আতঙ্কে অন্তত ২০ থেকে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। অথচ বলা হচ্ছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এঁদের। আতঙ্ক থেকেই তো হৃদরোগ হয়েছে, তা কি স্বীকার করতে চাইছে না মোদী সরকার?
৭. বাজারে মানুষ নেই। পচে নষ্ট হচ্ছে কাঁচা সবজি-তরকারি। বেনজির ক্ষতির সামনে ব্যবসায়ীরা।
৮. নোট বাতিলের জেরে গ্রামে-গঞ্জে বিপুল ক্ষতির সামনে কৃষকরা।
৯. কেন্দ্রীয় সরকার ‘প্লাস্টিক মানি’-র কথা বলছে। দেশে কত সংখ্যক মানুষ ‘প্লাস্টিক মানি’-র ব্যবহার জানে। গ্রামে-গঞ্জে ‘প্লাস্টিক মানি’ অচল। পরিকাঠামো নেই অথচ ‘প্লাস্টিক মানি’ ধুয়ো তোলা হচ্ছে।
১০. বলা হচ্ছে ক্রেডিড কার্ড ব্যবহার করতে। ক্রেডিট কার্ড কারও জীবন চলে না। উল্টে জীবন ছারখার হয়।
১১. নোট বাতিলকাণ্ডে বৃহস্পতিবার লোকসভায় মুলতবি প্রস্তাব আনবে তৃণমূল কংগ্রেস।-এবেলা
১৭ নভেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ