রবিবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৬, ০৮:৫১:২২

প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের জেরে প্রাণ হারাতে পারেন বিজেপি নেতা

প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের জেরে প্রাণ হারাতে পারেন বিজেপি নেতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লিভার ট্রান্সপ্লান্ট অপারেশনের জন্য অনেক দিন ধরে টাকা জমিয়েছিলেন ভারতের মধ্যপ্রদেশের এক বিজেপি নেতা হরি কৃষ্ণ গুপ্তা। শুধু নিজের সঞ্চয়ই নয়, আত্মীয়-স্বজনদের থেকেও সাহায্য নিয়েছিলেন। সব মিলিয়ে ১১ লক্ষ টাকা জোগাড় করেছিলেন তিনি। কিন্তু এতগুলো টাকা এখন নেহাত কাগজের নোট ছাড়া আর কিছুই নয় এবং নোটবদলের বিভ্রাটে বন্ধ হতে বসেছে ট্রান্সপ্লান্ট অপারেশন।

জানা গিয়েছে, গত ১৩ নভেম্বর নয়ডার একটি হাসপাতালে অপারেশনটি হওয়ার কথা ছিল। তার আগে ৫০০ টাকা ও ১০০০ টাকার নোটে ১১ লক্ষ টাকা রেডি করে রেখেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় তার এবং তার পরিবারের সকলে বিরাট বিপদের মধ্যে পড়েন। পুরানো নোট শুধুমাত্র সরকারি হাসপাতালগুলিতে নেওয়া হবে, এই কথা ঘোষণা করা হয়েছিল কিন্তু এই অপারেশনটি হওয়ার কথা ছিল একটি বেসরকারি হাসপাতালে।

ওই হাসপাতাল পুরানো নোটে পেমেন্ট নিতে অস্বীকার করায় অপারেশন স্থগিত রাখা হয় ও পুরানো নোট বদলে নতুন নোটে পেমেন্ট করতে বলা হয়। এত বড়সড় অ্যামাউন্টের নোটবদল করার একটাই উপায়— সোজাসুজি ব্যাঙ্কে জমা দিয়ে দেওয়া। কিন্তু প্রথমত, এতগুলো টাকা একসঙ্গে জমা দেওয়া মানেই ইনকাম ট্যাক্সের পেনাল্টি চার্জ হয়ে অর্ধেকের বেশি টাকাই আর পাওয়া যাবে না।

আবার পুরানো‌ নোট বদল করার সর্বোচ্চ লিমিট এখন ২০০০ টাকা। তাই এই বিপুল পরিমাণ পুরানো নোট বদলানোও যাচ্ছে না। তাই আক্ষরিক অর্থেই ১১ লক্ষ টাকা এখন বাতিল কাগজ ছাড়া কিছু নায়।

একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী পাঁচদিনের মধ্যে যদি অপারেশনটি না হয়, তবে হয়তো আর প্রাণে বাঁচবেন না হরি কৃষ্ণ গুপ্তা। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই স্থানীয় বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কদের কাছে ছুটে গিয়েছিলেন তার ছেলে অমিত গুপ্ত। কিন্তু অমিত জানিয়েছেন, এই ব্যাপারে কেউ তাকে কোনও সাহায্য করেননি। সূত্র : এবেলা

২০ নভেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে