বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৬, ০৬:১৯:৩০

বিনাযুদ্ধেই অচল হয়ে গেল বিশ্বের সবচেয়ে দামি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ

বিনাযুদ্ধেই অচল হয়ে গেল বিশ্বের সবচেয়ে দামি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বের সবচেয়ে দামি মার্কিন ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস জুমওয়াল্ট বিনাযুদ্ধেই দ্বিতীয় বারের মতো অচল হয়ে পড়ল! পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছায় যে আস্ত যুদ্ধ জাহাজটিকে টাগবোট দিয়ে টেনে সরাতে হয়েছে। পানামা খাল পার করার সময়ে মঙ্গলবার ইঞ্জিনে জল চুইয়ে ঢুকে জুমওয়াল্টকে অচল করে দেয়।

এ ছাড়া, ছোটখাট ক্ষতিও হয় রণতরীটির। এতে অচল হয়ে পড়ে জুমওয়াল্ট। ৪৪০ কোটি ডলার মূল্যের রণতরীকে পরে টাগবোট দিয়ে টেনে পানামায় পুরোন মার্কিন নৌঘাটি রোডম্যানে নিয়ে যাওয়া হয়। গত সেপ্টেম্বরে প্রথম দফা অচল হয়ে পড়েছিল এটি। এরপর সেটিকে ঠিকঠাক করা হয়। এরপর আরও একবার অচল হয়ে পড়ল আমেরিকার সবথেকে দামি ড্রেস্টোয়ার।

মার্কিন তৃতীয় নৌবহরের মুখপাত্র কমান্ডার রেয়ান পেরি বলেছেন, ভাইস অ্যাডমিরাল নোরা টাইসনের নির্দেশে রণতরীকে রোডম্যানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে রণতরীকে মেরামত করা হবে। অন্তত ১০ দিনের আগে মেরামত শেষ হবে না বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়ে। অবশ্য মেরামত চলাকালে রণতরীর পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন নৌবাহিনী আর কোনও বিবৃতি দেবে না বলেও ঘোষণা করা হয়েছে।

চলতি বছরের শেষ নাগাদ ইউএসএস জুমওয়াল্টের সান দিয়াগো বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। হাতিয়ার ব্যবস্থাকে চালু করার জন্য সেখানে যাচ্ছিল জুমওয়াল্ট। পানামায় যান্ত্রিক সমস্যা ঘটে যাওয়ায় এই কর্মসূচি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

কৌণিক আকৃতির ১৮০ মিটার বা ৬১০ ফুট লম্বা রণতরীকে রাডার ফাঁকি দেওয়ার উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে। মার্কিন নৌবাহিনীর জন্য এর আগে এতো ব্যাপক অর্থ ব্যয় করে এমন অত্যাধুনিক রণতরী আর বানানো হয় নি। জুমওয়াল্ট তৈরিতে ৪৪০ কোটি ডলারের বেশি অর্থ ব্যয় হয়েছে। এবং গত মাসে একে মার্কিন নৌবাহিনীর কাজে আনুষ্ঠানিক ভাবে নিয়োগ করা হয়।

এই রণতরীর কামান দিয়ে ৬৩ নটিক্যাল দূর থেকে লক্ষ্যবস্তুর ওপর নির্ভুল হামলা করা যাবে। জুমওয়াল্ট ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৫৬ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে। অবশ্য আনুষ্ঠানিক ভাবে নৌবাহিনীর কাজে যোগ দেওয়ার আগে, গত সেপ্টেম্বরে জলঢুকে প্রথম অচল হয়ে পড়েছিল জুমওয়াল্ট। সে সময়ে রণতরীকে এক দফা মেরামত করতে হয়েছিল। কিন্তু নতুন করে ফেল জল ঢুকে ইঞ্জিনকেই নষ্ট করে দিল। কলকাতা ২৪

২৩ নভেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে