আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পুলিশ হত্যার জের ধরে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে গণহত্যা চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। ছয় সপ্তাহ ধরে চলা এই অভিযানে কমপক্ষে ৮৬ জন রোহিঙ্গাকে হত্যা এবং কয়েক শতাধিক রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
যদিও দেশটির জাতিগত সংখ্যালঘু মুসলমানরা জানিয়েছে, চলমান এ অভিযানে বেসামরিক নাগরিকদের নিহতের সংখ্যা দুই শতাধিক।
এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তুরস্ক। গত (শুক্রবার) তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে মায়ানমারের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে এ উদ্বেগ প্রকাশ করে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে বিপুল সংখ্যক বেসামরিক নাগরিকের হতাহতের ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
নির্দোষ মানুষদের লক্ষ্য করে সব ধরনের সহিংসতার ঘটনায় তুরস্ক নিন্দা জানায় বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা সকল পক্ষকে সুবিচারের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি; যাতে চলমান এই সহিংসতা নতুন করে জাতিগত ও ধর্মীয় সংঘাতের দিকে পরিচালিত না হয়।’
বিবৃতিতে ‘সর্বোচ্চ সহযোগিতার’ জন্য সকল আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং মায়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
মায়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে স্বীকার করা হয়েছে যে, গত ৯ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া অভিযানে অন্তত ৮৬ জনকে তারা হত্যা করেছে এবং ওই এলাকায় রোহিঙ্গা মুসলমানদের সম্পত্তি দখল করে তা ধংস করা হয়েছে।
১৯৮২ সালে একটি আইন পাশের মাধ্যমে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মায়ানমারে বসবাসরত রোহিঙ্গা মুসলিমদের নাগরিকত্বকে অস্বীকার করা হয়। এই আইনের মাধ্যমে তাদের রাষ্ট্রহীন করা হয়।
২৭ নভেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এআর