আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অধিকৃত পশ্চিম তীরের অবৈধ ইহুদি বসতি এলাকায় অগ্নিসংযোগের জন্য সন্দেহভাজনদের খুঁজে বের করতে দখলদার ইসরাইলের বিমান বাহিনী দেশজুড়ে বিভিন্ন ধরনের ড্রোন ব্যবহার করছে। তাদের মধ্যে শক্তিশালী ‘শোভাল’ এবং ‘এইটান’ ড্রোনও রয়েছে। সন্দেহভাজনদের ধরতে ফিলিস্তিনিদের ওপর ব্যাপক ধরপাকড় চালানো হচ্ছে।
ইসরাইল প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আভিদর লিবারম্যান বলেন, ‘পশ্চিম তীরের ‘হালামিশ’ বসতিতে কয়েক ডজন ইহুদিদের ঘর-বাড়ি আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সন্দেহভকাজনদের ধরতে বিভিন্ন ধরনের ড্রোনের সহায়তা নেয়া হচ্ছে।’
কয়েকদিন আগে ইসরাইলের ডিফেন্স ফোর্সেসের প্রচার করা একটি ভিডিও ফুটেজে জেরুজালেম পাহাড়ের ‘নেস হারীম’ এবং ‘বেইত মেইরের’ কাছাকাছি যেখানে আগুন লাগে সেখানে ব্যাগ হাতে একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তির ছবি দেখানো হয়।
সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পুলিশ ইতোমধ্যে তার সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছে বলে জানানো হয়।
উপরন্তু, অগ্নিসংযোগে সন্দেহভাজনদের সনাক্ত করতে দুই প্লাটুন স্পেশাল ফোর্সেস মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও, অগ্নিসংযোগ প্রচেষ্টার জন্য সম্ভাব্য স্থানীয় সন্দেহভাজনদের সনাক্ত করতে কয়েকটি বাহিনীকে সংগঠিত করা হয়েছে।
পুলিশ ‘স্নিফার কুকুর’ ব্যবহার, সামাজিক নেটওয়ার্ক পর্যবেক্ষণ এবং অন্যান্য চ্যানেলের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক সংকেতের মাধ্যমে অগ্নিসংযোগকারীদের ধরতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। সূত্র: হারেৎজ
২৯ নভেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস