আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লখনউয়ের পরে আজ পটনায় নোটবাতিলের প্রতিবাদে ধরনা দিচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই সভা থেকে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন মমতা। তাঁর প্রশ্ন, আগে বিদেশ সফরের সময়ে নিজের বিমানে সংবাদমাধ্যমকে সঙ্গে করে নিয়ে যেতেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
কিন্তু এখন আর নিজের বিমানে সংবাদমাধ্যমকে জায়গা দেন না তিনি। জনতার উদ্দেশে মমতার প্রশ্ন, ‘প্রধানমন্ত্রী নিজের বিমানে কাদের সঙ্গে নিয়ে বিদেশে যান? কী নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর বিমানে? আমি কিছু বলছি না। আপনারাই জিজ্ঞেস করুন।’ বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীর নোটবাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছেন।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরাসরি এত বড় অভিযোগ এখনও পর্যন্ত কেউ আনেননি। তৃণমূলনেত্রীর এই অভিযোগের কী জবাব বিজেপি দেয়, সেটাই এখন দেখার।এই অভিযোগ বাদে যথারীতি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পরিচিত ঢঙেই আক্রমণ করেছেন মমতা।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন কালো টাকা উদ্ধার করে সবার অ্যাকাউন্ট ১৫ লক্ষ টাকা করে দেবেন। মোদীর কালো ধন কালোই থেকে গিয়েছে।’গ্রামাঞ্চলে ব্যাঙ্কিং পরিষেবার উন্নতি না করে প্রধানমন্ত্রী কেন মোবাইলে লেনদেন, মোবাইল ওয়ালেটে লেনদেনের উপরে জোর দিচ্ছেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মোবাইল সংস্থাগুলির গহোপন আঁতাঁতের দিকেও ইঙ্গিত করেছেন তৃণমূলনেত্রী। তাঁর অভিযোগ, বিগ বাজারে টাকা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সমবায় ব্যাঙ্কগুলি টাকা পাচ্ছেনা। টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু রাজ্যের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগও করেছেন মমতা। তাঁর প্রশ্ন, মাস পয়লায় কীভাবে টাকা তুলবেন মানুষ?
মমতার আরও অভিযোগ, কিছু কিছু রাজ্যকে প্রতিদিন টাকা দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু কিছু রাজ্যকে তা দেওয়া হচ্ছে না। মমতার দাবি, মোদী চলে যাবেন, কিন্তু নোটবাতিলের ফলে তৈরি হওয়া সমস্যা মিটবে না।
এদিন নোটবাতিলের বিরুদ্ধে অমর্ত্য সেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহদের যুক্তিও তুলে ধরেন মমতা। আয়কর আইনে নতুন সংশোধন নিয়েও কটাক্ষ করেছেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, এই আইনে সংশোধন করে কালো টাকাকে আরও কালো করার সুযোগ করে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিনও মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক দলগুলিকে একত্রিত করার ডাক দিয়েছেন মমতা। তাঁর কথায়, জনতা থাকলে দেশ থাকবে, দেশ থাকলে মোদী যাবেন।
তবে কাউকে সঙ্গে না পেলেও যে তিনি আন্দোলন বন্ধ করবেন না, তাও জানাতে ভোলেননি তৃণমূল নেত্রী। তাঁর দাবি নোটবাতিলের সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে না নেওয়া পর্যন্ত তিনি তাঁর আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।-এবলা
৩০ ডিসেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/টি.জে