আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সার্বিয়ায় গত জুলাই মাসে এক শক্তিশালী ঝড়ে সেখানে অবস্থীত প্রায় দেড়শত বছরের পুরনো গির্জাটি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এবং এতে গির্জাটির ছাদ ভেঙে যায়। কর্তৃপক্ষের সেদিকে কোন প্রকার কর্ণপাত নেই। সেখান কার খ্রিস্টান বাসিন্দারা গির্জাটিতে গিয়ে তাদের পার্থনার কাজ করতে পারছেনা। আর তাই সার্বিয়ার একটি গ্রামের খ্রিস্টান বাসিন্দারা এক যোগে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম হয়ে যাবেন বলে কর্তৃপক্ষকে হুমকি দিয়েছেন।
সার্বিয়ার বেলগ্রেডের কাছে সোপিচ গ্রামের এই গির্জাটি অবস্থীত। গির্জা কর্তৃপক্ষ চাইছে গির্জাটি ভেঙে পুনর্নির্মান করতে কিন্তু গ্রামবাসী তা চাইছেনা। তারা চাইছে এতো বছরের পুরনো এই গির্জাটি না ভেঙে সংস্কার করা হোক।
এজন্য সার্বিয়ার সোপিচ গ্রামের বাসিন্দার সির্বিয়ার প্রধান গির্জা অর্থোডক্স বরাবর একটি দিয়ে জানিয়েছে, প্রায় দেড়শত বছরের পুরনো এটি গির্জাটি রক্ষার উদ্যোগে তারা যদি সমর্থন না দেয় তাহলে সেই গ্রামের সব লোক একসাথে ধর্মত্যাগ করে মুসলমান হয়ে যাবেন।
তারা মনে করছেন এর ফলে সার্বিয়ার আইনে তারা আরো বেশি সুরক্ষা পেতে পারেন। তবে এই ধর্মত্যাগকে তারা ‘শহীদ’ হওয়ার সঙ্গে তুলনা করছেন। কিন্তু তার মনে করেন এই ধর্মঅন্তরিত হওয়ার পরও তার তাদের হৃদয়ে যিশুখ্রিস্টকেই ধারণ করবেন।
গত জুলাই মাসে এক শক্তিশালী ঝড়ে ১৫০ বছরের পুরনো গির্জাটি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এতে টাওয়ারটির ছাদ ভেঙে যায়। এরপর স্থানীয় যাজক সিদ্ধান্ত নেন, গির্জাটি ভেঙে নতুন করে বানাতে হবে, কারণ তিনি মনে করেন এর ভিত্তির মাটি দুর্বল হয়ে গেছে।
কিন্তু গ্রামের একজন বাসিন্দা প্রেদ্রাগ লাজারেভিচ যিনি ওই চিঠিটি লিখেছেন এবং তা প্রাধান গির্জার নিকট পেশ করেছেন তিনি বলেন, তিনি নিজে একজন ভূতত্ববিদ এবং তার মূল্যায়ন অনুযায়ী গির্জাটির ভিত্তি ঠিকই আছে তাই তা ভেঙে নতুন করে কোন গির্জা তৈরি করার কোনো দরকার নেই, সংস্কারই যথেষ্ট।
লাজারেভিচ রেডিও সারায়েভোকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তারা নতুন গির্জা নির্মাণের বিরোধী নন, তবে তা করতে হবে পুরনো গির্জাটি অক্ষত রেখেই। কারণ তাদের এতো দিনর সৃতি জড়িত আছে পুরোন এই গির্জাটির সাথে।
১১ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/