মঙ্গলবার, ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৬, ০১:১৬:৫৪

জয়ললিতা আর নেই, আম্মা যুগের অবসান

জয়ললিতা আর নেই, আম্মা যুগের অবসান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শেষ রক্ষা হল না, চিকিত্‍‌সকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ।  বাংলাদেশ সময় রাত ১২.০০ টায় না ফেরার দেশে চলে গেলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী তথা জয়রাম জয়ললিতা। তামিলনাড়ু রাজ্যের মানুষের কাছে ‘আম্মা’ নামেই পরিচিত এই জননেত্রী। তামিল ভাষায় যার অর্থ 'মা'।

রাজ্যজুড়ে স্বজন হারানো শোক। তার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-সহ ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং সাংসদরা। শোক জ্ঞাপন করেছেন বিরোধী দলনেতা করুণানিধি।

গত ২২ সেপ্টেম্বর জ্বর এবং ডিহাইড্রেশনের সমস্যা নিয়ে অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। তবে সপ্তাহ খানেক চিকিত্সা নেওয়ার পরেও বিশেষ কোনও অগ্রগতি না হওয়ায় সিঙ্গাপুর থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিত্সসক দলকে উড়িয়ে আনা হয়। তবে তাদের সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় রোববার গভীর রাতে।

রোববার সন্ধ্যায় মারাত্মক কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। সঙ্গে সঙ্গে তাকে ভর্তি করা হয় অ্যাপোলো হাসপাতালের ICCU-তে। অবস্থার অবনতি হতে থাকায় রাখা হয় ECMO সাপোর্টে। অ্যাপোলোর বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের দল ছাড়াও জয়ললিতার চিকিত্সাহয় চেন্নাই চলে যান AIIMS-এর একটি বিশেষজ্ঞদল। পরামর্শ নেওয়া হয় লন্ডনের ডাক্তারদেরও। তামাম চেষ্টাও ব্যর্থ হয়ে যায়।

হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ক’দিন পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তার মৃত্যুর খবর নিয়ে নানা গুজব ছড়াতে থাকে। তবে সে সমস্ত গুজব এই খবরে নিরসন হয়ে গেল। তামিলনাড়ু-সহ গোটা ভারতে নেমেছে শোকের ছায়া। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন জয়ললিতার অনুগামীরা।

১৯৪৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বর্তমান ভারতের কর্নাটকের মেলুকোটে জন্ম হয় ভারতের এই প্রভাবশালী রাজনীতিক জয়ললিতা জয়রাম জয়ললিতার। প্রবাদপ্রতিম তামিল অভিনেতা এম জি রামচন্দ্রনের হাত ধরে তামিল রাজনীতিতে প্রবেশ করেছিলেন তখনকার সময়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়ললিতা। পরিচালক শিবাজি গণেশনের একদা পছন্দের এই তামিল অভিনেত্রীর জনপ্রিয়তা তখন আকাশ ছুঁই ছুঁই।

রামচন্দ্রনের পর ১৯৯১ সালে যখন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন জয়া। ভারতের সমুদ্র উপকুল রাজ্য তামিলনাড়ুতে বিপুল জনপ্রিয় আম্মা৷‌ গত লোকসভা নির্বাচনে সারা ভারতে মোদি ঝড় উঠলেও আম্মার রাজ্যের ৩৯টি আসনের ৩৭টিই পেয়েছিল জয়ললিতার দল৷‌

তবে বারবার দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে তার নাম। ২০১৪ সালে হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি মামলায় জয়ললিতার চার বছরের হাজতবাসের সাজা হয়। এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন জয়াআম্মা। তবে, ২০১৫ সালের ১১ মে কর্নাটকের বিশেষ আদালত তাকে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করে। ২৩ মে ফের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি।

৫ ডিসেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি ‌

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে