আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা জয়ললিতার সম্মানে টুইট করেছেন। রাজনৈতিক নেত্রী হিসেবে তাঁর প্রশংসা করেছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন ডিএমকে প্রধান করুণানিধিও।
শেষ বিধানসভা নির্বাচনেও শারীরিক অসুস্থতার জন্য ভাল করে প্রচার করতে পারেননি। তা সত্ত্বেও জয়ললিতার এআইডিএমকে-র কাছে হার মানতে হয়েছিল করুণানিধির দল ডিএমকে-কে। গোটা রাজনৈতিক জীবনে কখনও প্রতিপক্ষ করুণানিধির কাছে হেরেছেন, কখনও জিতেছেন আম্মা। কিন্তু প্রয়াণের পরে সম্ভবত সেরা প্রশংসাটা তাঁর সবথেকে কঠিন প্রতিপক্ষের থেকেই পেলেন জয়ললিতা।
আম্মার প্রয়াণের পরে প্রত্যাশিত ভাবেই দেশের সমস্ত রাজনৈতিক নেতা দলমত নির্বিশেষে আম্মার প্রতি নিজেদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপণ করেছেন। রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী থেকে শুরু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা জয়ললিতার সম্মানে টুইট করেছেন। রাজনৈতিক নেত্রী হিসেবে তাঁর প্রশংসা করেছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন ডিএমকে প্রধান করুণানিধিও। যাবতীয় রাজনৈতিক লড়াইকে অতীত করে দিয়ে নিজের শোকবার্তায় আম্মাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন করুণানিধি। তিনি বলেছেন, ‘জয়ললিতা ছিলেন একজন ভয়ডরহীন নেত্রী। গরিব মানুষের উন্নয়ন, ভালর জন্য তিনি ছিলেন আপোসহীন একজন রাজনীতিবিদ।’
রাজনৈতিক জীবনে এবং তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নানা বিতর্কে জড়িয়েছিলেন আম্মা। দুর্নীতির অভিযোগে জেলও খাটতে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু সেই সমস্ত বিতর্ক সরিয়ে রেখে একটি বিষয়ে তাঁর রাজনৈতিক শত্রু-মিত্ররা আজ একমত। সেটি হল, রাজনীতিতে জয়ললিতার আপোসহীন মনোভাব।
তামিলনাড়ুর সদ্যপ্রয়াত মুখ্যমন্ত্রীকে স্মরণ করতে গিয়ে এই একটি প্রশংসা দেশের প্রায় সমস্ত প্রবীণ রাজনীতিকদের গলায় শোনা গেছে। আর আম্মার প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ করুণানিধি তো স্বীকার করেই নিলেন, গরিব মানুষের উন্নয়নের জন্য তাঁর আপোসহীন লড়াইয়ের কথা। সেই কারণেই হয়তো তামিলনাড়ুতে ভগবানের আর এক নাম আম্মা! সেই কারণেই হয়তো আম্মার প্রয়াণে স্বজন হারানো শোকে ভেঙে পড়েছে গোটা তামিলনাড়ু। -এবেলা।
০৬ ডিসেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম