শনিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৬, ০৬:০০:৫১

ক্ষমতার হাতবদল, জয়ললিতার শূন্যস্থানের দায়িত্বে শশিকলা

ক্ষমতার হাতবদল, জয়ললিতার শূন্যস্থানের দায়িত্বে শশিকলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ‘আম্মা’-র মৃত্যুর মাত্র ৪ দিনের মধ্যেই বদলাতে শুরু করেছে তামিলনাড়ুর রাজনৈতিক সমীকরণ। তবে কেন্দ্রস্থলটি একই থেকে গিয়েছে। নাম বদল হয়েছে শুধুমাত্র রানিমার দুঃখিত ‘আম্মা’-র। খবর ইন্ডিয়া টাইমসের।

জয়ললিতার ফেলে যাওয়া ফাঁকা আসনটিতে ধীরে ধীরে নিজের অধিকার জমিয়ে তুলছেন আম্মার ছায়াসঙ্গিনী শশিকলা। আপাতত পোয়েস গার্ডেনে জয়ললিতার বাসস্থান বেদ নিলয়ের বাসিন্দা শশিকলা।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সেখানে পৌঁছান রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ও পন্নিরসেলভাম। তার সঙ্গে ছিলেন এডাপাড্ডি কে পালানিস্বামী, দিনদিগুল সি শ্রীনিবাসন, পি থাঙ্গামানি এবং এস পি ভেলুমানি। উদ্দেশ্য ছিল শশিকলার সঙ্গে দেখা করে পার্টি তথা প্রশাসনিক কাজকর্ম নিয়ে আলাপ আলোচনা করা।

জয়ললিতার মৃত্যুর পরে খালি হয়ে গিয়েছে সর্বভারতীয় আন্না দ্রাবিড় মুনেত্র কড়গম (AIADMK)-এর মহাসচিবের পদ। বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, এবার সেই পদে অভিষেক হতে চলেছে শশিকলার। ইতিমধ্যে দলের সদর দপ্তরে দেখা গিয়েছে অনেকগুলি পোস্টার যেখানে শশিকলাকে অনুরোধ করা হয়েছে ‘আম্মা’-র দায়িত্ব সামলাতে।

অবশেষে শনিবার AIADMK-র তরফে ট্যুইট করে জানানো হয়, দলটি থিরুমথি শশিকলাকে অনুরোধ করেছে যাতে তিনি ‘আম্মা’-র ফেলে যাওয়া দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নেন এবং আগামী দিনে পার্টির দায়িত্ব সামলান। জয়ললিতার ছায়াসঙ্গীর পার্টির দায়িত্ব সামলানোর প্রস্তাবকে সমর্থন করেছেন দলের সব নেতারা।

বৃহস্পতিবার সকালে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী সহ দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা প্রয়াত নেত্রীর পোয়েস গার্ডেনের বাসস্থানে যান শশিকলার সঙ্গে দেখা করতে। সে ব্যাপারে AIADMK-র প্রতিষ্ঠানিক সচিব তথা দলের মুখপাত্র সি পুন্নাইয়ানকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘যদি শশিকলা আম্মার সঙ্গে পার্টির কেউ গিয়ে দেখা করেন, তাতে অন্যায়ের কী আছে? তিনি কি দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য নন?’

পুন্নাইয়ান আরও বলেন, ‘শশিকলা আম্মা পুরাতচি থালাইভি আম্মার সঙ্গে তাঁর শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত ছিলেন। তাছাড়া তিনি দলের একজন প্রধান সদস্য। আর দলের সর্বস্তরীয় নেতারা মিলেই এই সিদ্ধান্তে এসেছেন।’

পুন্নাইয়ান বলেন, ‘আম্মা’ চিরকাল ভগবানের মতোই পূজিত হবেন। যতদিন এমজিআর এবং আম্মার আত্মা AIADMK-কে আগলে রাখবে ততদিন কোনও কিছু নিয়ে চিন্তা করার কোনও প্রয়োজন নেই দলের। ততদিন দলে কখনও বিবাদ বা শূন্যতা তৈরি হবে না। দলের প্রত্যেক কর্মী আম্মার দেখিয়ে যাওয়া পথেই আগামী দিনেও চলবে।

১০ ডিসেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে