সোমবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৬, ০১:০২:৪০

বাঁচতে আবর্জনা আমদানি করছে ভারত!

বাঁচতে আবর্জনা আমদানি করছে ভারত!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতজুড়ে চলছে স্বচ্ছ ভারত অভিযান। আবর্জনা না ফেলে দেশকে পরিষ্কার রাখার কথা বলা হচ্ছে বার বার। আর এই দেশটাকে দেখুন। জঞ্জালের আকালে মাথায় হাত পড়েছে দেশটির সরকারের। অন্য দেশ থেকে রীতিমতো জঞ্জাল আমদানি করছে তারা।

ভারতজুড়ে চলছে স্বচ্ছ ভারত অভিযান। যেখানে সেখানে নোংরা ফেলতে বারণ করা হচ্ছে। স্বচ্ছ ভারত গড়তে একের পরে এক প্রচার চালাচ্ছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু এমনও এক দেশ আছে, যা একটু বেশিই পরিষ্কার। এতটাই পরিষ্কার যে, এবার বাইরে থেকে জঞ্জাল আমদানি করতে হচ্ছে এই দেশকে।

সমস্যাটা সুইডেনের। হ্যাঁ, এই দেশেই দেখা দিয়েছে বর্জ্য পদার্থের আকাল। ভাবতে পারেন, এই দেশই নাকি এখন বাইরের দেশ থেকে বর্জ্য আমদানি করতে চলেছে? কিন্তু কেন। সুইডেনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যে তাদের রিসাইক্লিং সিস্টেম এতটাই উন্নত যে তার জেরে দেশে কোনও আবর্জনা নেই বললেই চলে। সেই সিস্টেমকে চালু রাখতেই এখন আবর্জনার প্রয়োজন অনুভব করছে সুইডেন। না হলে ভবিষ্যতে বেশ সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে দেশটি।

আবর্জনা আমদানির কারণ হিসেবে প্রাকৃতিক ভারসাম্য তো রয়েছেই। সঙ্গে রয়েছে বিদ্যুৎ তৈরির কারণও। জানা গিয়েছে, সুইডেনের প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের বেশিরভাগটাই আসে আবর্জনা পুনর্ব্যবহার করে। সুইডেনের সরকার জানিয়েছে, সে দেশের রিসাইক্লিং সিস্টেম এতটাই উন্নত যে, এত দিনে এক শতাংশেরও কম মানুষের বাড়ির আবর্জনা জমিতে জমা হয়েছে। ঘরের আবর্জনা যেখানে সেখানে না ফেলার জন্য এবং সেই আবর্জনা পুনর্ব্যবহারের জন্য দেশজুড়ে বার বার প্রচার চালিয়েছে সরকার। শুধু তাই নয়, সিস্টেমটিকে চালু রাখতে যথাযথ পুনর্ব্যবহার নীতিও গ্রহণ করেছে সুইডেন সরকার।

এ বিষয়ে সুইডেনের মানুষ এতটাই সচেতন যে শুধু সরকারি নয়, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাও বিভিন্ন বর্জ্য ও আবর্জনা পুনর্ব্যবহারের কাজে এগিয়ে এসেছেন তাঁরা। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে, বর্জ্যের জন্য অন্য দেশের কাছে সাহায্য চাইতে চলেছে সুইডেন। সুইডেন সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে যাতে এরকম অসুবিধা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হবে। এবার থেকে ভুগর্ভস্থ কন্টেনার সিস্টেমের মাধ্যমে আবর্জনা সংগ্রহ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। যার ফলে অনেকটাই কমে যাবে বিদ্যুৎ এবং জ্বালানির খরচ। -এবেলা।
১২ ডিসেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে