আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের বাসভবন ও কার্যালয় ব্লু হাউসে হামলার লক্ষ্যে কয়েক দফার মহড়া চালাল উত্তর কোরিয়া। সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। সেখানে প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে, রাষ্ট্রপ্রধান কিমের নির্দেশেই এই মহড়া চালানো হয়েছে। এই অবস্থাকে ঘিরে রীতিমত যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে উত্তর কোরিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে। যে কোনও প্রস্তুতির জন্যে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আরও জানায়, উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী কিমের নেতৃত্বে কয়েক দফা এই মহড়া চালানোর পাশাপাশি পিপল’স আর্মির ফাইভ-টোয়েন্টি ফাইভ ইউনিট বিশেষ মহড়াও পরিচালনা করে। তারা কামান থেকে দক্ষিণ কোরীয় লক্ষ্যবস্তুর উদ্দেশে হামলার মহড়াও করে। দক্ষিণ কোরিয়ার দাবি মোতাবেক, মহড়াগুলো পরিচালিত হয়েছে গত শনিবারে। এর একদিন আগে শুক্রবার পার্লামেন্ট পার্ককে ইমপেচমেন্ট করে। এর ফলে সাময়িকভাবে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে বরখাস্ত হয়েছেন। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পেতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। অর্থাৎ ৯ বিচারক বিশিষ্ট সাংবিধানিক আদালতই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে। পার্ক চূড়ান্তভাবে বহিস্কার হবেন কি হবেন না সে সিদ্ধান্ত জানাতে ছয় মাস সময় পাবেন তারা। আর সে পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত থাকবেন পার্ক।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত ফুটেজে দেখা যায়, মহড়া পরিচালনা করতে গিয়ে হেলিকপ্টার থেকে সেনা নামানো হচ্ছে। পরে তারা ব্লু হাউসকে (কল্পিত, মহড়ায় ব্যবহৃত) নিশানা করে অবস্থান গ্রহণ করেছে এবং গুলি ছুড়ছে। ফুটেজে উত্তর কোরীয় নেতা কিমকেও দেখা যায়। তিনি বিস্ফোরকে সমৃদ্ধ একটি ইউনিটের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী এবং ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট দেশটির সেনাবাহিনীকে যে কোনও ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।-কলকাতা২৪
১৪ ডিসেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস