আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে ধ্বনি ও শক্তিশালী জঙ্গী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) এবার রাসায়নিক অস্ত্রের সক্ষমতা অর্জন করেছে। তারা এখন রাসায়নিক অস্ত্র তৈরি ও ব্যবহার করা শুরু করেছে। এমন দাবি করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। দেশটির এক কর্মকর্তা বলেন, ইরাক ও সিরিয়ায় মাস্টার্ড গ্যাসের মত মারণাস্ত্র প্রয়োগ করা শুরু করেছে জঙ্গিরা।
সূত্রের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, আইএস জঙ্গিরা এই রাসায়নিক অস্ত্র মূল পাউডার ফর্মে ব্যবহার করছে। জঙ্গিদের সাবেক রীতি যেমন মর্টার শেল বা এলোপাথাড়ি গুলি চালানোর রাস্তা থেকে সরে এসে ঠান্ডা মাথায় গণহত্যা নিয়ে গবেষণা শুরু করেছে জঙ্গিরা, যা মার্কিন প্রশাসনের নয়া মাথাব্যাথা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্তা বলেন, ইরাক ও সিরিয়ায় অন্তত চারটি জঙ্গি হামলার ঘটনার ভিডিও রেকর্ডিং ও ফরেন্সিক রিপোর্ট দেখে আমরা বুঝতে পেরেছি, জঙ্গিরা মাস্টার্ড গ্যাসের মত রাসায়নিক মারণাস্ত্রের ব্যবহার শুরু করেছে। শুধু ব্যবহারই নয়, নিরন্তর গবেষণার মাধ্যমে রাসায়নিক অস্ত্রকে আরও প্রাণঘাতী করে তুলছে জঙ্গিরা।
সাধারণত সিরিয়া একটি রাসায়নিক অস্ত্রমুক্ত অঞ্চল। রাষ্ট্রসংঘের এক চুক্তি মোতাবেক সিরিয়ার সরকার প্রায় ১,১৮০ টন টক্সিক এজেন্ট তুলে দেয় অর্গানাইজেশন ফর দ্য প্রহিবিশন অফ কেমিক্যাল উইপন্স বা ওপিসিডব্লিউ-য়ের হাতে।
২০১৩ সালের অক্টোবরে এই প্রক্রিয়া শুরু হয় ও চলতি বছরের জুন মাসে তা শেষ হয়। ২০১১ সাল থেকে সিরিয়ায় সরকার বিরোধী আন্দোলন শুরু হওয়ার পর আজ পর্যন্ত সে দেশে অন্তত ২ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হলেও তাদের মধ্যে খুব কম সংখ্যক মানুষই রাসায়নিক অস্ত্রের প্রভাবে মারা গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সূত্র: সিএনএন
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস