আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আইনজীবী ডেভিড ফ্রাইডম্যানকে ইসরাইলে পরবর্তী মার্কিন দূত হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন। ডেভিড ফ্রাইডম্যান ইস্যুতে তার পক্ষ্য অবলম্বন করার কারণে আগেই বিতর্কের মধ্য পড়েছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনী প্রচারণার সময় তিনি ট্রাম্পের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় তিনি দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইহুদী বসতি স্থাপন সম্প্রসারণের পক্ষাবলম্বন করেন। তিনি ইসরাইলে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেমে সরিয়ে নেয়ার প্রচারণারও একজন সমর্থক।
ট্রাম্পের ট্রানজেশন কমিটি বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানায়, ডোনাল্ড ট্রাম্প আইনজীবী ডেভিড ফ্রাইডম্যানকে ইসরাইলে পরবর্তী মার্কিন দূত হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন।
এরপর ফ্রাইডম্যান বলেন, তিনি ‘ইসরাইলের রাজধানী জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস থেকে’ শান্তির জন্য কাজ করতে আগ্রহী।
নির্বাচনী প্রচারণাকালে ট্রাম্পও ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বলেছিলেন, তিনি জয়ী হলে ইসরাইলের অবিভক্ত রাজধানী হিসেবে জেরজালেমকে স্বীকৃতি দেবেন।
ফ্রাইডম্যান তার ‘কট্টর ইসরায়েলপন্থী’ বক্তব্যের জন্য পরিচিত। ফ্রাইডম্যান ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটের ক্ষেত্রে ‘দুই রাষ্ট্র সমাধান’ নীতির বিরোধী। দুই রাষ্ট্র সমাধান নীতিতে ১৯৬৭ সালের ভৌগলিক সীমানা অনুযায়ী ওই আরবভূমিতে প্যালেস্টাইন ও ইসলায়েলকে পৃথক দুটি রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার কথা বলা হয়। তবে ফ্রাইডম্যান এই দুই রাষ্ট্র সমাধাননীতির বিরোধিতার মধ্য দিয়ে কার্যত স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেন।
১৬ ডিসেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস