আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কাছে সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানি বাতিল করতে ইসরাইল সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবীরা। ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়য়ের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ বিভাগের প্রধান রাচেলি চেনের কাছে লেখা এক চিঠিতে তারা এ আহ্বান জানান।
একইসঙ্গে তারা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কেনা সকল প্রতিরক্ষা রপ্তানি লাইসেন্স পর্যালোচনার করার আহ্বান জানিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে মিয়ানমারের দৈনিক ইরাবতী। ১১ই ডিসেম্বর দেয়া ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, এটা আশ্চর্যজনক যে ইসরাইল যখন ইরানের বিরুদ্ধে অব্যাহত নিষেধাজ্ঞার জন্য লড়ছে তখন বার্মার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ’র নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করতে কেন তাদের কোন দ্বিধা নেই। অথচ বার্মায় সব থেকে গর্হিত সব অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। বার্মিজ আমি দেশটির উত্তর ও পূর্বে জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া, রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিম সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে মারাত্মক মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।
জেরুজালেম এর একজন মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী এইতায় ম্যাক ইরাবতীকে বলেন, সামরিক সরঞ্জামগুলোর শিপমেন্ট এখনও বার্মায় যায়নি। আমরা এটা বন্ধ করতে চাই। আমাদের প্রত্যাশা আমাদের কর্তৃপক্ষকে ব্যবহার করে আমরা কিছু একটা করতে পারবো।’
মানবাধিকার কর্মীদের ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বার্মায় ইতিবাচক গণতান্ত্রিক উত্তরণ স্বত্ত্বেও তাদের আর্মি ও কর্মকর্তারা নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতেই রেখেছে। সংসদে জান্তা প্রতিনিধিদের ২৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত রয়েছে। এর ফলে তারা সংস্কারমূলক যে কোন পদক্ষেপে চাইলে ভেটো দেয়ার অধিকার রাখে। গুরুত্বপূর্ণ তিনটি মন্ত্রণালয় প্রতিরক্ষা, সীমান্ত এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়গুলোও তাদের নিয়ন্ত্রণে।
উল্লেখ্য, কয়েক দশক ধরে বার্মিজ জান্তাদের সঙ্গে প্রতিরক্ষামূলক সম্পর্ক বজায় রেখেছে ইসরাইল। গত জুনে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি বিভাগের জেনারেল মাইকেল বেন বারুখ বার্মা সফর করেন। আর সেপ্টেম্বর মাসে ইসরাইল সফর করেন মিয়ানমারের সিনিয়র জেনারেল মিং অং হলেইং। এমজমিন
১৬ ডিসেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস