রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:১৩:০৫

এবার ইরানের টার্গেট বাহরাইন ও ইয়েমেন, কি করবে সৌদি?

এবার ইরানের টার্গেট বাহরাইন ও ইয়েমেন, কি করবে সৌদি?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাহরাইন ও ইয়েমেনে হস্তক্ষেপের হুমকি দিয়ে উপসাগরীয় দেশগুলোর বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়া শুরু করেছেন ইরানের বিপ্লবী গার্ডের কর্মকর্তারা। সিরিয়ায় আলেপ্পোয় তাদের সহযোগিতায় বাশার আল আসাদের সরকারি বাহিনী বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হওয়ার পরই তারা মন্তব্য করলেন।

আলেপ্পোর দখলের পর ইরানি মিডিয়ায় প্রচারিত হয়েছে তাদের এসব বক্তব্য। নগরীটির বেসামরিক লোকদের ওপর গণহত্যা, দুর্ভিক্ষ আর গৃহহীনে পরিণত করার ভয়াবহ ওই যুদ্ধে তারা নিজেদের বিজয়ী বলেই দাবি করছে। ইরান ও রাশিয়ার সহযোগিতায় বিদ্রোহীদের সবচেয়ে শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত আলেপ্পোর দখল নিয়েছে সিরীয় সরকার। এ প্রসঙ্গে ইরানের বিপ্লবী গার্ডের ডেপুটি কমান্ডার জেনারেল হোসেইন সালামি রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থাকে বলেন, আলেপ্পোর বিজয়ের ফলে বাহরাইনের মুক্তির পথ প্রশস্ত হবে।’ এ সময় তিনি এই আভাস দেন যে, আলেপ্পোর পতনের পর বাহরানই, ইয়েমেন ও ইরাকের মসুলের দিকে মনোনিবেশ করবে ইরান।

জেনারেল সালামি বলেন, ‘বাহরাইনের জনগণ তাদের লক্ষ্য অর্জন করবে, ইয়েমেনের লোকেরা স্বস্তি পাবে আর মসুলের বাসিন্দারাও বিজরে স্বাদ পাবে। এসবই খোদার ওয়াদা।’ একই সাথে সালামি জানান, ইরান ইয়েমেনের হাউছি বিদ্রোহীদের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রেখেছে। তিনি আরো বলেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র এখন যেকোনো শত্রুর এলাকায় আঘাত হানতে সক্ষম। একই সাথে তিনি আলেপ্পোর নগরীর ওপর সিরীয় সরকারের দখলের ঘটনাকে বিজয় বলে অভিহীত করেন।

এ ছাড়া ইরানের বিপ্লবী গার্ডের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রমাদান শরিফের মুখপাত্রের কথায় স্পষ্ট হয়েছে যে, আরব বিশ্বে রক্তাক্ত যুদ্ধ ও সামরিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে ভৌগোলিক অবস্থান প্রসারিত করার উদ্দেশ্য আছে ইরানের। শরিফ উল্লেখ করেন, রাশিয়ার সমর্থনে ইরানি বাহিনী ও লেবাননের হিজবুল্লাহসহ ইরাক, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের শিয়া মিলিশিয়ারা আলেপ্পো দখলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

প্রসঙ্গত, ইরানের মোকাবেলায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে উপসাগরীয় দেশগুলোর প্রতি তার সমর্থন ব্যক্ত করার পর থেকেই ইরান বাহরাইনসহ উপসাগরীয় দেশগুলেকে শত্রুজ্ঞান করছে। গত ৭ ডিসেম্বর উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের সম্মেলনে থেরেসা বে বলেন, ‘লেবানন, ইরাক, ইয়েমেন, সিরিয়া ও উপসাগরীয় অঞ্চলে ইরানের যুদ্ধের হাত থেকে রক্ষা পেতে আমাদের একসাথে কাজ করা প্রয়োজন।’ এ বক্তৃতার প্রতিবাদে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তেহরানে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনারকে তলব করে বক্তৃতার নিন্দা জানান।
১৮ ডিসেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে