আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ নিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে নিন্মকক্ষের সংসদে (বিধানসভা) বিতর্ক চলছিল। তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ মুলতুবি প্রস্তাব দাবি করেন। কিন্তু, স্পিকার তাতে রাজি হননি। আর তাতেই বাধে গোল।
দৌড়ে অলিম্পিকে পদক জেতা ভারতের স্বপ্ন। ত্রিপুরার তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন সেই চেষ্টা করে দেখতেই পারেন। অন্তত সোমবার ত্রিপুরা বিধানসভায় তিনি যে কাণ্ড ঘটালেন, তাতে এমন দাবি উঠতেই পারে।
ভিডিওটি দেখা যায়, স্পিকার মুলতুবি প্রস্তাবে সে না দেওয়ায় কীভাবে ন্যায়দণ্ড ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যান তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক। স্পিকারের ন্যায়দণ্ড ছিনতাই করতেই, অন্য বিধায়ক ও মন্ত্রীরা তার পিছু নেন। কিন্তু, কিছুতেই থামানো যায়নি ওই বিধায়ককে। যা নিয়ে বিধানসভার মধ্যে রীতিমত ধুন্ধুমার পড়ে যায়।
জানা যায়, মঙ্গলবার ত্রিপুরার বনমন্ত্রী নরেশ জামাতিয়ার বিরুদ্ধে বিধানসভায় সরব হয়েছিলেন বিরোধী কংগ্রেস এবং তৃণমূলের বিধায়করা। সংসদ মূলতুবি প্রস্তাবের দাবি জানায় বিরোধীরা। স্পিকার রামেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ সেই প্রস্তাব খারিজ করে দিতেই নিমেষে বদলে যায় বিধানসভার ছবি। তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন হঠাত্ই স্পিকারের টেবিলে উঠে তার দণ্ড কেড়ে নিয়ে দৌড় দেন। দণ্ড নিতে তৃণমূল বিধায়কের পেছনে দৌড়োন মার্শাল। মিনিট খানেকের মধ্যেই শান্ত হয় পরিস্থিতি।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ শে আগস্ট ত্রিপুরা বিধানসভায় বিরোধী দলের মর্যাদা পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কংগ্রেস ছেড়ে আসা ছয় বিধায়ক যোগ দেন মমতা ব্যানার্জীর নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেসে।
২০ ডিসেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস