আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গে দেখা করলো আলেপ্পোর যুদ্ধকবলিত সাত বছরের শিশু বানা আলাবেদ। ফোকলা দাঁতের মেয়েটির হাসি শুধু এরদোগানকে নয় নজর কেড়েছে বিশ্বমিডিয়ারও।
সিএনএন তাকে নিয়ে প্রচার করেছে একটি বিশেষ প্রতিবেদন। নিউ ইয়ার্ক টাইমসে তাকে নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি সংবাদ। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ উদগ্রীব হয়ে থাকত তার জন্য। তার একটি খবরের জন্য। সে ভালো আছে তো, বেঁচে আছে তো!
২০১১ সাল থেকে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই বানা ও তার পরিবার গৃহবন্দি ছিল। তাদের বাড়ি পূর্ব অলেপ্পোর আল-বাবে। গত সেপ্টেম্বরের ২৬ তারিখ তার মা ফাতেমাহ আলাবেদ তার নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার এ্যাকাউন্ট খুলে দেয়। তারপর বানা টুইটারে পোস্ট করতে থাকে যুদ্ধবিরোধী আহ্বান।
বানা লিখে, ‘আমাদের কাছে খাদ্য নেই, পানি নেই। প্রতিদিন আমাদের বাড়ির চারপাশে বোমা ফাটছে। যে- কোনো মুহূর্তে আমরা মারা যেতে পারি।’
টুইটারে বানার অনুসারী সাড়ে ৩ লাখ। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভোসোগলু পর্যন্ত তাকে টুইটারে অনুপ্রেরণা দিতেন, সাহস ধরে রাখো। আমরা তোমার সঙ্গে আছি।
শেষ পর্যন্ত নিরাপদের সাথেই বানা ও তার পরিবার আলেপ্পো থেকে পালাতে পেরেছে। তাদেরকে উদ্ধার করে তুরস্কে নিয়ে আসা হয়। তুরস্কেও প্রেসিডেন্ট তার বাসভবনে বানার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। প্রেসিডেন্ট বানাকে জড়িয়ে ধরেন। বানাও ইংরেজিতে প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে ধন্যবাদ জানায়। সূত্র : সিএনএন
২২ ডিসেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম