আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত দুর্নীতির অভিযোগ তোলার পরের দিন সবার চোখ ছিল নরেন্দ্র মোদীর বারাণসীর সভার দিকে। সেখান থেকে তিনি অভিযোগের সরাসরি জবাব দিলেন না বটে, কিন্তু বেনজির ভাবে আক্রমণ করলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে। ছাড়লেন না প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমকেও।
বারাণসী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে নরেন্দ্র মোদী নোটবাতিল নিয়ে সংসদে বিরোধীদের হইচই করার সঙ্গে ‘পকেটমার’-এর তুলনা করেন। তিনি বলেন, পকেটমাররা যেমন গোলমাল পাকিয়ে মানুষের দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিয়ে আরামে পকেট কাটে, তেমনই বিরোধী সাংসদরাও গোলমাল পাকিয়ে নোটবাতিলের সময়ে বেইমানদের সাহায্য করছেন।
এই প্রসঙ্গেই মোদী বলেন, ‘যেন মনে হচ্ছে বিরোধী নেতারা মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ ১৯৭০-৭২ সাল থেকে দেশের অর্থব্যবস্থার কোর টিমে বরাবর ছিলেন। কিন্তু কোনও আর্থিক অনিয়মের দাগই তাঁর গায়ে লাগে না। উনি বলছেন যে দেশের ৫০ শতাংশ লোক গরিব, সেখানে এত প্রযুক্তি কীভাবে কার্যকর করা হবে? মনমোহন সিংহ নিজের রিপোর্ট কার্ড দিচ্ছেন না আমার রিপোর্ট কার্ড দিচ্ছেন? আমি তো বুঝতেই পারছি না।’
প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমও মোদীর নোটবাতিলের সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করেছিলেন। সেই সমালোচনার জবাবও মোদী এইদিন দেন। তিনি বলেন, ‘চিদম্বরমজি বলছেন দেশের ৫০ শতাংশ গ্রামে বিদ্যুৎ নেই। অথচ ২০১৪ সালে বলতেন, উন্নয়নের জোয়ার লেগে গিয়েছে। তাহলে কী আমি এসে সব বিদ্যুতের খুঁটি উপরে নিয়েছি?’
দেশের মানুষ কষ্ট সহ্য করে তাঁর সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে বলে দাবি করে মোদী বলেন, দেশের মানুষকে প্রণাম করা উচিত। দেশের আবর্জনা পরিষ্কার হয়ে গিয়ে, দেশ একদিন সোনার মত খাঁটি হবে। -এবেলা।
২২ ডিসেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম