আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিন নিয়ে ভিন্ন অবস্থান নিল আমেরিকা। ইজরায়েলের স্বার্থের বিপক্ষে গিয়ে ফিলিস্তিনের ইজরায়েলের অধিকৃত অংশে নির্মাণের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আনা এক প্রস্তাবনায় ভোটদানে বিরত থাকল ওয়াশিংটন। যার জেরে এই প্রস্তাবনা পাস হয়ে গেল।
ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করে এই প্রস্তাব রুখে দিতে পারত তারা। দীর্ঘদিনের বন্ধুরাষ্ট্র ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ২২ ডিসেম্বর আবেদন করেছিলেন ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করে ‘ইজরায়েল বিরোধী প্রস্তাবনা’ রুখে দিতে।
কিন্তু ভোটদানে বিরত থাকার কারণ হিসেবে জাতিসংঘের নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সামান্থা পাওয়ার বলেছেন, ওয়াশিংটন মনে করে এই নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হলে ফিলিস্তিন এবং ইজরায়েলের মধ্যে আবার দুই দেশের স্থিতাবস্থা নষ্ট হবে। নতুন করে অস্থিরতা দেখা দেবে। এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট হননি ট্রাম্প। মার্কিন অবস্থানে তিনি যে খুশি হতে পারেননি তা টুইট করে জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ২০ জানুয়ারির পর পরিস্থিতি অন্যরকম হবে। শুক্রবার এই নির্মাণের বিরুদ্ধে প্রস্তাব এনেছিল নিউজিল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভেনেজুয়েলা, সেনেগাল। মিশরও প্রাথমিকভাবে এই প্রস্তাবে সায় দিয়েছিল। তবে মার্কিন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইজরায়েলের চাপে শেষ পর্যন্ত নাম প্রত্যাহার করে নেয়। অবশেষে নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্য দেশের মধ্যে ১৪ দেশের ভোটাভুটিতে পাস হয়ে গেল এই প্রস্তাব।
২৪ ডিসেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস