আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কালোটাকা আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। নোটবাতিলের পর সেই লড়াইয়ের পরের ধাপ বেনামি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা। ১ নভেম্বর থেকে বেনামি সম্পত্তি কেনাবেচার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইন পাশ করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার।
১ জানুয়ারি থেকে সেই আইনই কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে চলেছে ভারতের আয়কর দফতরের কর্তারা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আয়কর ফাঁকি দিতে অন্যের নামে সম্পত্তি কিনে রাখার দুর্নীতি চলে আসছে অনেকদিন ধরেই। এবার সেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করবে আয়কর কর্তারা।
প্রথমেই দেখা হবে ২০১৬ সালে আয়কর রিটার্নের রেকর্ড, ব্যাঙ্কের লেনদেনের স্টেটমেন্ট এবং বিভিন্ন সময়ের আয়কর হানার তথ্য। সেই অনুযায়ী, সন্দেহজনক বেনামি সম্পত্তির মালিকানার তদন্ত শুরু করবে আয়কর দফতর।
এক আয়কর কর্তার কথায়, ‘আগামী বছর এই কাজটিই আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়ে করতে বলা হয়েছে।’ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রাজনীতিক, ব্যবসায়ী বা প্রবাসী ভারতীয়রা নগদ টাকায় অন্যের নামে সম্পত্তি কিনে রাখেন। যাতে তাদের রোজগারের উপরে বা অসৎ উপায়ে পাওয়া টাকার উপরে কোনও কর দিতে না হয়।
সমস্যা হচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রেই জমি, বাড়ি বা ফ্ল্যাটের মতো সম্পত্তির হস্তান্তর হলেও মিউটেশন করে মালিকের নাম বদল করা হয় না। এক্ষেত্রে বর্তমান মালিক বা যিনি সেই সম্পত্তি বিক্রি করেছেন, তিনি বিপদে পড়তে পারেন। দেখা গিয়েছে ভারতের প্রত্যেক শহরেই ৫ থেকে ১০ শতাংশ রিয়েল এস্টেট সম্পত্তি কর এড়াতে বেনামে কেনা হয়ে থাকে।
২৬ ডিসেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস