আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অপরাধী সন্দেহে এক চীনা ব্যক্তিকে হেলিকপ্টার থেকে ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করলেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুয়ার্তে। দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলতে গিয়ে ওই প্রসঙ্গ তোলেন তিনি।
গত মঙ্গলবার ফিলিপাইনে সম্প্রতি আঘাত হানা টাইফুনে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্দেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন তিনি। পরে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের একটি ভিডিও ফিডে দুয়ার্তের বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপটি পোস্ট করা হয় বলে জানিয়েছে আলজাজিরা।
চীনা ব্যক্তিকে হেলিকপ্টার থেকে ফেলে দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে মঙ্গলবার দুয়ার্তে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারি কর্মকর্তাদের একই পরিণতি বরণ করতে হবে বলে হুমকি দেন। দুয়ার্তে বলেন, ‘যদি আপনারা দুর্নীতিগ্রস্ত হন, আমি হেলিকপ্টারে করে আপনাদের ম্যানিলায় নিয়ে যাব এবং ছুড়ে ফেলে দেব। এর আগেও আমি এমন করেছি। আবার কেন আমি তা করব না?’
তবে কবে, কখন এবং কোথায় হেলিকপ্টার থেকে ওই চীনা ব্যক্তিকে ফেলে দিয়েছিলেন তা স্পষ্ট করে বলেননি দুয়ার্তে। তার মুখপাত্র এর্নেস্টোর আবেলা বলছেন, সত্যিকার অর্থে এমন কিছু নাও ঘটে থাকতে পারে।
দাভাও শহরের মেয়র থাকা অবস্থায় সন্দেহভাজন অপরাধীদের নিজ হাতে হত্যা করার স্বীকারোক্তি দেওয়ার কয়েক সপ্তাহের মাথায় নতুন স্বীকারোক্তি দিলেন দুয়ার্তে। ১৯৮৮ সালে তিনি দাভাও শহরের মেয়র থাকাকালে সন্দেহভাজন অপরাধীদের নিজহাতে হত্যার কথা স্বীকার করেন দুয়ার্তে। এই স্বীকারোক্তির পর জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান জাইদ রা’দ আল-হুসেইন তার বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান।
এছাড়াও বিভিন্ন সময়েই দুয়ার্তেকে মানুষ হত্যার স্বীকারোক্তি দিতে দেখা গেছে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বগ্রহণের আগে এবং ২০১৫ সালের শেষের দিকে র্যাপলারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দুয়ার্তে দাবি করেছিলেন তার কিছুদিন আগে তিন ব্যক্তিকে হত্যা করেছেন। একই সময়ে দুয়ার্তের বিরুদ্ধে ৭০০ মানুষকে হত্যার অভিযোগ উঠেচিল। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘ওরা হিসেবটা কমিয়ে দেখাচ্ছে। আমার হাতে হত্যার শিকার মানুষের সংখ্যা ১৭০০ হবে।’
চলতি বছরের জুনে ক্ষমতায় আসার পর দুয়ার্তে মাদক পাচারের বিরুদ্ধে যে ‘যুদ্ধ’ শুরু করেন, তাতে ছয় হাজারেরও বেশি মানুষ বিচারবহির্ভুত হত্যাকাণ্ডের শিকার হন বলে জানা যায়।
২৯ ডিসেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস