আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রথমে লোকজনের হাত দেখে, কোষ্ঠী বিচার করে আস্থা অর্জন। তার পরে প্রতারণা। একেবারে পাঁচ কোটি টাকা প্রতারণা করে উধাও! তবে শেষরক্ষা হয়নি। মঙ্গলবার ভারতের ত্রিপুরার আগরতলায় কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়ল অভিযুক্ত কুমার আদিত্য গঙ্গোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার রাজ্যের আলিপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত কুমারকে গোয়েন্দা হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। ৩১ জনকে প্রতারণার ঘটনায় অভিযুক্তকে আদালতে তোলার সময় এদিন প্রতারিতদের অনেকে বিক্ষোভও দেখান।
যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) বিশাল গর্গ জানিয়েছেন, বছর পঁয়ত্রিশের কুমার ছ’বছর আগে গড়ফা থানা এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নেয়। নিজেকে এলাকায় জ্যোতিষী বলে পরিচয় দিয়েছিল সে।
জ্যোতিষী হিসাবে আস্থা অর্জনের পর কুমার তার কয়েকজন অনুগামীকে জানায়, তার মারফত শেয়ারে লগ্নি করলে তাঁরা মোটা অঙ্কের টাকা রোজগার করতে পারবেন। কারণ, তাঁদের ভাগ্যে নাকি শেয়ার থেকে মোটা টাকা রোজগারের যোগ রয়েছে। কুমারের আশ্বাস পেয়ে অনেকেই তাকে লগ্নি করার জন্য টাকা দিয়েছিলেন। এক মহিলা শেয়ারে লগ্নি করার জন্য বাড়ি ও গয়না বিক্রি করে এক কোটি ২০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন কুমারকে। এছাড়া, কুমার একজনকে কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কবচ বা গ্রহরত্ন দিয়েছিল মোটা টাকার বিনিময়ে। কাউকে মদের লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার নামেও সে টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ।
তবে মাস ছয়েক ধরে কুমার গড়ফার বাড়ি ছেড়ে গা ঢাকা দেয়। গড়ফার নস্করপাড়ার বাসিন্দা জয়ন্ত মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি গত ৩ নভেম্বর অভিযোগ করেন, তাঁর কাছ থেকে শেয়ারে লগ্নির নামে ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে কুমার আর ফেরত দেয়নি। মোট ৪ কোটি ৯৬ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা সে প্রতারণা করেছে বলে আপাতত জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, কুমার সম্পর্কে খোঁজখবর করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, সে আগরতলায় বাড়ি ভাড়া করেছে। মঙ্গলবার ত্রিপুরার অসম-আগরতলা রোডে বনমালীপুর দিঘি এলাকা থেকে কুমারকে গ্রেফতার করা হয়। কুমারের তিনটি ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের হদিস পাওয়া গিয়েছে। মিলেছে কিছু সোনা ও রুপোর বন্ড কেনার সার্টিফিকেট। -এবেলা।
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম