আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মাটিতে পড়ে থাকা আহত এক ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যার মামলায় ইসরায়েলের সামরিক আদালত শেষ পর্যন্ত অভিযুক্ত সৈনিককে দোষী সাব্যস্ত করেছে। এই মামলাটি নিয়ে ইসরায়েলি জনমত মারাত্মকভাবে বিভক্ত ছিল এবং এ নিয়ে সেখানে তীব্র বিতর্ক চলছিল। খবর বিবিসি বাংলার।
বিশ বছর বয়সী সার্জেন্ট ইলর আজারিয়া গত মার্চে অধিকৃত পশ্চিম তীরের হেবরনে আবদুল ফাতাহ আল শরিফ নামে এক ফিলিস্তিনিকে মাথায় গুলি করে হত্যা করেন। আবদুল ফাতাহ আল শরিফ এর একটু আগেই এক ইসরায়েলি সৈনিককে ছুরিকাঘাত করেছিলেন। তবে এর পরপরই অন্য সৈনিকরা তাকে ধরে ফেলেন। আহত অবস্থায় যখন তিনি মাটিতে শুয়ে ছিলেন তখন সার্জেন্ট ইলর আজারিয়া তাঁর মাথায় সরাসরি গুলি করেন।
এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর এ নিয়ে ইসরায়েলে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়। ফিলিস্তিনি এবং ইসরায়েলি মানবাধিকার সংগঠনগুলো একে একটি 'প্রতিশোধমূলক হত্যা' বলে বর্ণনা করে। তবে সার্জেন্ট আজারিয়া যুক্তি দিয়েছিলেন যে আহত ফিলিস্তিনি আত্মঘাতী বোমার বেল্ট পরা ছিল বলে সন্দেহ করেছিলেন তিনি। সেজন্যেই তাকে গুলি করে হত্যা করেন।
তবে ইসরায়েলের জনমত এই মামলা নিয়ে মারাত্মকভাবে বিভক্ত হয়ে পড়ে। অনেকে অভিযোগ করেন যে একজন আহত নিরস্ত্র মানুষ, যার দিক থেকে কোন ঝুঁকি আর ছিল না, তাকে ঠান্ডা মাথায় এভাবে সরাসরি গুলি করে হত্যা করে সামরিক বাহিনীর আচরণবিধি লংঘন করেছেন সার্জেন্ট আজারিয়া। বিচার বহির্ভুত হত্যার দায়ে এজন্যে তার সাজা দাবি করেন তারা।
তবে অন্যরা যুক্তি দেন যে ছুরি হাতে সন্ত্রাসী হামলায় অংশ নেয়া ঐ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে সার্জেন্ট আজারিয়া ঠিক কাজই করেছেন। গত এক বছর ধরে ইসরায়েলি এবং অধিকৃত ফিলিস্তিনি এলাকাগুলিতে ছুরি হাতে এরকম অনেক হামলা চালিয়েছিল ফিলিস্তিনিরা।
সরকারি কৌশুলিরা আদালতে বলেন, সার্জেন্ট আজারিয়া কোন বিচার-বিবেচনা ছাড়া একভাবে মাটিতে শুয়ে থাকে ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে সামরিক বাহিনীর 'রুলস অব এনগেজমেন্ট' লংঘন করেছেন।
০৪ জানুয়ারি ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এসএস