শুক্রবার, ০৬ জানুয়ারী, ২০১৭, ০২:২৬:৪৭

ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর ভারতকে ‘ঠাণ্ডা’ করে দেয়ার হুমকি চীনের

ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর ভারতকে ‘ঠাণ্ডা’ করে দেয়ার হুমকি চীনের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীন বলেছে, ভারতের উচিত ‘ক্ষেপণাস্ত্রের জ্বর থেকে ঠাণ্ডা হওয়া’। চীনের রাষ্ট্র পরিচালিত ইংরেজি দৈনিক গ্লোবাল টাইমসের এক সম্পাদকীয়তে এ মন্তব্য করা হয়েছে।

পত্রিকাটি বলেছে, ভারত যদি ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে অনেক দূর এগিয়ে যায় তাহলে বেইজিংও চুপচাপ বসে থাকবে না। পত্রিকাটিতে মূলত চীন সরকারের মতামত প্রতিফলিত হয়।

ভারত সম্প্রতি পরমাণু ওয়ারহেড বহনে সক্ষম অগ্নি-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। এরপর চীন এ কথা বলল। অগ্নি-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা হচ্ছে চার হাজার কিলোমিটার এবং ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, পুরো চীন এখন ভারতের এ ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় চলে এসেছে। ভারতীয় গণমাধ্যম আরো বলছে, চীনের সম্ভাব্য আগ্রাসন মোকাবেলায় ভারতের হাতে এখন কার্যকর অস্ত্র রয়েছে।

তবে চীন বলছে, পরমাণু অস্ত্র ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করে ভারত জাতিসঙ্ঘের সীমা লঙ্ঘন করেছে। গ্লোবাল টাইমস পত্রিকা বলেছে, পরমাণু ক্ষেত্রে ভারত যেসব সুবিধা পাচ্ছে পাকিস্তানেরও সেসব সুবিধা পাওয়া উচিত এবং দেশটিকে ভারতের মতোই পরমাণু শক্তি হিসেবে মেনে নেয়া উচিত। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পরমাণু প্রতিযোগিতা নিয়ে উদাসীনতার বিষয়ে পশ্চিমা দেশগুলোকে হুঁশিয়ার করেছে চীন। বেইজিং বলেছে, অবস্থা এমন হলে চীন নিশ্চুপ বসে থাকবে না।

গ্লোবাল টাইমসের এ সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, বিশ্বের যেকোনো স্থানে আঘাত করতে পারে- ভারতের এমন আন্তঃমহাদেশীয় পরমাণুবাহী ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনে যদি জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদ আপত্তি না করে তাহলে পাকিস্তানের পরমাণুবাহী ক্ষেপণাস্ত্রেরও পাল্লা বাড়বে।

অবশ্য চীন একইসাথে বলেছে, ভারতের সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় বেইজিং ভীত নয় এবং ভবিষ্যতে ভারতকে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবেও বিবেচনা করবে না।

গ্লোবাল টাইমস আরো বলেছে, এটা খুব সাধারণ কথা যে, ভারত ও চীনের সামরিক শক্তির মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে এবং ভারত এও জানে- চীনের ওপর পরমাণু ঝুঁকি তৈরি হলে তার তার পরিণাম কী হবে। সে ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো পথ হচ্ছে- বেইজিং ও দিল্লির মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হওয়া। সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, দিল্লির বোঝা উচিত যে, কোনো ভূ-রাজনৈতিক চাতুরতার মাধ্যমে ভারত-চীন সম্পর্ক ধ্বংস করা হলে দিল্লির জন্য তা কোনো কল্যাণ বয়ে আনবে না। সূত্র : ওয়েবসাইট
০৬ জানুয়ারী, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে