আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে বরাবরই বিরোধীদের অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের নির্দেশ পালন করতে ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানাতে চাইছেন। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নিজেকে একজন হিন্দু জাতীয়তাবাদী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।
সেই হিন্দু-জাতীয়তাবাদি বিজেপি দলের প্রধানমন্ত্রীর উপর হিন্দু ধর্মের অন্যতম ধারক শঙ্করাচার্যই রেগে গেলেন। তিনি বলে দিলেন, নোটবাতিল ধর্ম-বিরোধী। এই সিদ্ধান্ত অদূরদর্শী, অব্যবহারিক এবং আর্থিক স্বাধীনতার উপর বড় আঘাত।
তিনি গুজরাতের কেদারঘাটের বিদ্যামঠে বলেন, যদি কেউ নিজের ইচ্ছেমতো পয়সা খরচ না করতে পারে তবে সে রোজগার করবে কেন? যদি কারও কাছে টাকা না থাকে তাহলে যজ্ঞ, দান বা তীর্থভ্রমণ করবে কী ভাবে?
মোদীর নোটবাতিলের তীব্র সমালোচনা করে শঙ্করাচার্য বলেন, দেশে কী এমন আর্থিক জরুরি অবস্থা তৈরি হল যে সরকারকে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলার জন্য সীমা নির্ধারণ করতে হচ্ছে? কোনও ব্যক্তি যদি নিজের ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে, সে নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারে। কিন্তু সে যদি দেখে অন্য কেউ তার ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে চলে গেল, তাহলে সে এক মিনিটও তা সহ্য করতে পারবে না। এই পদক্ষেপ একটি অপরাধ।
তিনি আরও বলেন, উগ্রপন্থা, কালো টাকা, দুর্নীতি ও জাল নোট দূর করার যে উদ্দেশ্য নিয়ে নোটবাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছিল, তা অসফল হয়েছে। ভারতের চারজন শঙ্করাচার্যের মধ্যে অন্যতম দ্বারকার স্বামী স্বরূপানন্দ সরস্বতী ঠিক এই ভাবেই মোদির ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করলেন।
০৬ জানুয়ারি ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এসএস