আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারত-পাকিস্তান এই দুটি দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত যুদ্ধে জড়িয়েছে পাঁচবার। প্রায় দুইদেশে স্থলসীমা ও জলসীমা নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। শুরু হয় অস্ত্রের মহড়া। অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী হওয়া ভারত অবশ্য এ ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে। কিন্তু তাই বলে পাকিস্তানও বসে থাকার পাত্র নয়।
পাকিস্তান নৌবাহিনীতে নয়া সংযোজন। ভারত মহাসাগরে ভারতীয় নৌবাহিনীর সঙ্গে সবসময়ই পাল্লা দেওয়ার চেষ্টা করে পাকিস্তান। এবার চীন-পাকিস্তান ইকনমিক করিডর পাহারা দেওয়ার জন্য প্রথম মিসাইল যুদ্ধজাহাজ তৈরি করলো পাকিস্তান। এটাই ওই দেশে তৈরি প্রথম মিসাইল বোট। যাতে থাকবে অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সেন্সর। পাকিস্তানের মেরিটাইম টেকনোলজি কমপ্লেক্স তৈরি করেছে এই জাহাজ।
এই যুদ্ধজাহাজে থাকবে অ্যান্টি-শিপ মিসাইল ও কমব্যাট সিস্টেম। C-602 নামে একটি অস্ত্র থাকবে এই জাহাজে যা চিনের YJ-62-র সমতুল্য। পাকিস্তানের জন্য একটা গেম চেঞ্জার হতে চলেছে CPEC. আর সেটা কোনোমতেই ভেস্তে যাক, সেটা চায় না তারা। ৪৬ বিলিয়ন ডলারের এই প্রজেক্টে যুক্ত হবে চীনের কাসগার ও পাকিস্তানের গুয়েদার। ফলে বাণিজ্য হবে অনেক সহজ। পাকিস্তানের অর্থনীতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে এই সিপিইসি প্রজেক্ট।
অন্যদিকে, ভারতকে চাপে রাখতে অত্যাধুনিক যুদ্ধ জাহাজ কিনছে পাকিস্তান। মাস কয়েক আগে পাকিস্তানের নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ জাকাউল্লাহ করাচিতে নোঙ্গর ফেলা চীনা রণতরী পরিদর্শন করেছেন। আর এরপরেই পাকিস্তানের যুদ্ধ জাহাজ কেনার জল্পনা তৈরি হয়েছে। দ্বিপক্ষীয় যৌথ মহড়ায় অংশ নিতে গত কয়েকদিন আগে পাকিস্তানের বন্দরনগরী করাচিতে চিনা রণতরী হানদান ঘাঁটি গেড়েছে।
চলমান যৌথ নৌমহড়ায় অংশ নেওয়ার জন্য চীনা নৌবাহিনীর রণতরীর এই সফর। সেই সময় অত্যাধুনিক চীনা নৌবহর ঘুরে দেখেন পাক নৌপ্রধান। পর্যবেক্ষকদের মতে, সম্ভবত এই ধরণের যুদ্ধ জাহাজ কিনতে পারে পাকিস্তান। তবে এই যুদ্ধজাহাজ পাকিস্তান নৌবাহিনীর আলাদা শক্তি যোগান দেবে তাতে কোন সন্দেহ নেই।
০৬ জানুয়ারি ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এসএস