আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশের গদর শহর। আর এই বন্দর-শহরের পাশেই আরব সাগর। গদরের গুরুত্ব ‘সিপিইসি’ হিসেবে, মানে ‘চায়না-পাকিস্তান ইকনমিক করিডর’। চীন ও পাকিস্তানের ‘ইকনমিক করিডর’-এর একটি মুখ্য স্থান এই বন্দর। গদর বন্দরটি, চীনের ‘ওয়ান রোড, ওয়ান বেল্ট’ প্ল্যানের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল।
গদর বন্দরে কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর থেকে। কিন্তু ২০১৫-তেই এই বন্দরটি, ৪৩ বছরের জন্য চীনকে ‘লিজ’ দিয়ে দেয় পাকিস্তান। মানে, ২০৫৯ সাল পর্যন্ত গদর বন্দরের যাবতীয় কার্যকলাপ তদারক করবে চীন।
মূলত ব্যবসার জন্যই এই ‘ওয়ান রোড, ওয়ান বেল্ট’-এর প্রকল্প মাথায় আসে চীনের। তারই অংশ হিসেবে ‘মেরিটাইম সিল্ক রোড’-এর ভাবনা। এবং পাকিস্তানের গদর বন্দর যে ভবিষ্যতে এই ব্যবসায়িক সম্পর্কে খুবই ফলপ্রসূ হবে, তা নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই দুই দেশের।
কিন্তু, ব্যবসার সম্পর্কে যুদ্ধ-জাহাজের কী দরকার? আর কেনই বা তা হলে চীন দু’টি এমন জাহাজ ‘উপহার’ দিল পাকিস্তানকে? পাকিস্তানের দুই নদীর নামানুসারে ‘হিঙ্গোল’ ও ‘বাসল’ নামে জাহাজ দু’টির অভ্যর্থনার জন্য গদর বন্দরে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের নেভি ভাইস অ্যাডমিরল আরিফুল্লা হুসেইনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে তার বক্তব্য ছিল এমনটাই— চীনের দেওয়া এই জাহাজ দু’টির জন্য পাকিস্তানের নৌ-সেনা আরো মজবুত হল।
‘সিপিইসি’ প্রকল্প অনুযায়ী, হিঙ্গোল ও বাসল যুদ্ধজাহাজ হলেও, তাদের মূল দায়িত্ব এই নৌপথের সুরক্ষা। এর পরে, দশৎ ও ঝোব নামে আরও দুটি জাহাজও পাকিস্তানকে দেবে চীন।
এ প্রেক্ষাপটে ভারতীয় পত্রপত্রিকায় বলা হচ্ছে, ভারতকে ঘিরে ফেলার জন্যই পাকিস্তানে রণতরী পাঠাচ্ছে চীন।
১৬ জানুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর