আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সংবিধান লঙ্ঘন করে ব্যবসায় বিদেশী সরকারের অর্থ নেয়ার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা করেছে হোয়াইট হাউজের সাবেক কয়েকজন ‘এথিকস’ অ্যাটর্নিসহ সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও সুপ্রিম কোর্টের কাউন্সিলরদের একটি দল। সোমবার নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটন ফেডারেল কোর্টে এ মামলা করেন তারা।
‘সিটিজেনস ফর রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড এথিকস ইন ওয়াশিংটন’ শীর্ষক এ দলটির অভিযোগ, সংবিধানের ধারা অনুযায়ী ট্রাম্প ব্যবসায় বিদেশী অর্থ নিতে পারেন না। এ কারণে আদালতের কাছে এ ধরনের অর্থ গ্রহণ না করতে ট্রাম্পের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আদেশ চাওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের একটি ধারা অনুযায়ী, সরকারি পদে থাকা কোনো ব্যক্তি কংগ্রেসের অনুমতি ছাড়া বিদেশী কোনো রাষ্ট্র, বাদশাহ বা প্রিন্সের কাছ থেকে কোনো ধরনের অর্থ বা উপঢৌকন নিতে পারবেন না। ট্রাম্প এ ধারা ভঙ্গ করে তার মালিকানাধীন ভবন, হোটেল ভাড়াসহ বিদেশী সরকার ও অতিথিদের কাছ থেকে আরো অন্যান্য পেমেন্ট নিচ্ছেন। আইনজীবীদের দলটি বলেছে, ট্রাম্পের উচিত বিদেশের সাথে তার সব ব্যবসায়িক লেনদেন বন্ধ করা।
দলটি এক বিবৃতিতে জানায়, ট্রাম্প চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনের মতো দেশের সাথে ব্যবসা করেন। এ ক্ষেত্রে ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ওইসব দেশের সাথে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনায় বসবেন তখন আমেরিকার জনগণ কোনোভাবেই জানতে পারবে না যে ব্যবসায়ী ট্রাম্প হিসেবে তিনি মুনাফা পাওয়ার কথাও একই সাথে ভাবছেন কি না।
এ দিকে ট্রাম্পের ছেলে ও ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের উপপ্রধান নির্বাহী এরিক ট্রাম্প রোববার জানান, যেকোনো আইনি ঝামেলা এড়াতে প্রয়োজনের চেয়ে বেশিই প্রস্তুতি নিয়েছে কোম্পানি। বিদেশী সরকার ও অতিথিদের কাছ থেকে যে অর্থ বা মুনাফা ট্রাম্প মালিকানাধীন হোটেলগুলো পেয়েছে, তা যুক্তরাষ্ট্রের কোষাগারে জমা দিতে রাজি আছেন তারা। -ওয়াশিংটন পোস্ট ও বিবিসি।
২৫ জানুয়ারী, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম