আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের পর সীমান্তের কাছে অত্যাধুনিক আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ডোংফেং-৪১ মোতায়েন করেছে চীন। ধারণকৃত চিত্রের ভিত্তিতে হেইলংজিয়াং ডংফেং-৪১ আইসিবিএম মোতায়েন করার খবর প্রকাশ করা হয়েছে। ট্রাম্পের অভিষেকের পর এ খবর প্রকাশ করা হয়াকে হুঁশিয়ারি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
হংকং ও তাইওয়ানের কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে গ্লোবাল টাইমস জানায়, চীনের মূল ভূখণ্ডের ওয়েবসাইটগুলোতে চীনের ডোংফেং-৪১ ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ছবি প্রকাশিত হয়েছে। রুশ বার্তা সংস্থা এ ধরনের একটি মিডিয়ার নাম উল্লেখ করেছে, সেটি হলো হংকংভিত্তিক ট্যাবলয়েড পত্রিকা অ্যাপল ডেইলি।
চাইনা ডেইলি জানায়, সামরিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, হেইলংজিয়াং প্রদেশে মোতায়েন ক্ষেপণাস্ত্রের ছবি হলো দ্বিতীয় পর্যায়ের ডোংফেং-৪১ কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র ব্রিগেড এবং তা দেশটির উত্তরাঞ্চলেই মোতায়েন করা উচিত।’
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির পত্রিকা পিপলস ডেইলি গ্লোবাল টাইমসের উদ্যোগে প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, ডোংফেং-৪১ হলো তিন পর্যায়ের সলিড-প্রোপেলান্ট ক্ষেপণাস্ত্র। এর পাল্লা ১৫,০০০ কিলোমিটার। এ ক্ষেপণাস্ত্র ১০টি এমআইআর-৫ পরমাণু ওয়ারহেড বহন করতে পারে। চীনের এ ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র মাত্র ৩০ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে সক্ষম।
চীন অবশ্য এখনো প্রকাশ্যে এ ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করেনি। চীনের প্রতি বিতর্কিত অবস্থান নেয়ায় ট্রাম্পের প্রতি একটি বার্তা দিতে তার অভিষেকের সময় এ খবর প্রকাশ করা হতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। গত ডিসেম্বরে দক্ষিণ চীন সাগরে দেশটির বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস জন সি, স্টেনিস তৎকালীন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাস্টন কার্টারের পরিদর্শনকালে চীন ডিএফ-৪১ এর রেইলকার-লঞ্চড ভারসনের পরীক্ষা চালিয়েছিল।
রুশ বিশ্লেষক কনস্টান্টিন সিভকভ বলেছেন, রাশিয়ার সীমান্তের কাছে ডিএফ-৪১ মোতায়েন রাশিয়ার জন্য কোনো হুমকি সৃষ্টি করেনি; বরং চীনা ভূখণ্ডে গভীরে মোতায়েন করলেই তা মস্কোর জন্য হুমকি হতো।
২৬ জানুয়ারী, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম