আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গভীর রাতে তীব্র কম্পনে কেঁপে ওঠে দক্ষিণ ফিলিপাইন। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যু ও গুরুতর জখম প্রায় ১২০ জনের বেশি বলে জানা গেছে। ভূকম্পের তীব্রতায় ফিলিপিন্সের বহু ঘর-বাড়ি ভেঙে পড়ে। গভীর রাতের এই ঘটনায় ফিলিপিন্সে বেশ কয়েকটি জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ফিলিপাইন ইন্সটিটিউট অফ সেসমোলজি অ্যান্ড ভলক্যানোলজির রেনাটো সোলিডামের কথায়, শুক্রবার রাতে মিনডানো আইল্যান্ডের কাছে ও সুরিগাও-র মধ্যবর্তী স্থানে কম্পনের উত্সস্থল ছিল। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৫। এই তীব্র কম্পনে দক্ষিণ ফিলিপিন্সে হাজারো বাড়িতে চিড় ধরেছে, বহু বাড়ি ভেঙে পড়েছে। আতঙ্কে মানুষজন এখন রাস্তার উপরই বাস করছেন। শুধু তাই নয়, দুদিন ধরে চলা তীব্র কম্পনের পরও আফটার শকেও ফিলিপাইনে অতি মাঝারি কম্পনের অনুভব করা যাচ্ছে।
সরকারি সূত্রে খবর, ১৫ কোটি জনবসতিপূর্ণ ফিলিপাইনে এই কম্পনের আগে প্রায় ১৩০ বার মাঝারি কম্পন হযেছে। কিন্তু এত ক্ষয়-ক্ষতির শিকার আগে কখনও হননি বাসিন্দারা। কম্পনের জেরে বহু ঘড়বাড়ি মাটিতে মিশে গিয়েছে। ঘড়ছাড়া মানুষজনের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিতে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ।
সূত্রে খবর, কম্পনের পরই বেশিরভাগ এলাকায় বিদ্যুত্, জল পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তীব্র ভূমিকম্পে বেশ কয়েকটি এলাকায় ব্রিজ ও রাস্তা ভেঙ্গে গিয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুরিগাও শহর। পরিস্থিতি সামলাতে মাঠে নেমেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, সেনা।
এদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শণে যান প্রেসিডেন্ট রোরিগো দুতর্তে। সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করার কথা আশ্বাস দেন তিনি। ত্রাণ পরিষেবা ও দুর্যোগ মোকাবিলার কাজ সঠিকবাবে চলছে কিনা তার সরিজমিনে যান তিনি।
১২ ফেব্রুয়ারি,২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এসএস