আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শরণার্থী সংকট নিয়ে ইউরোপীয় দেশগুলোর নীতি ও কঠোর অবস্থানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শহরে বিশাল র্যালি হয়েছে। ডেনমার্ক, যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, স্পেন, হাঙ্গেরি, নেদারল্যান্ডস, সুইডেনে রাস্তায় নেমেছে সাধারণ মানুষ। এ ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ায় শনিবার র্যালি বের হয়।
যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ডাউনিং স্ট্রিটে শরণার্থীদের প্রবেশের অনুমতি দেয়ার দাবিতে জড়ো হয় হাজারো জনতা। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে ‘ওপেন দ্য বর্ডারস’ (সীমান্ত খুলে দাও), ‘রিফিউজিস ইন’ (শরণার্থীদের প্রবেশ) লেখা সম্বলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে এগিয়ে যায় বিক্ষোভকারীরা। দেশটির অন্যান্য শহরেও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে প্রায় হাজার খানেক লোক র্যালিতে থেকে সরকারকে শরণার্থীদের প্রতি আরও সহানুভূতিশীল হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে র্যালিতে অন্তত ৩০ হাজার ডেনিশ অংশ নিয়ে শরণার্থীদের আমন্ত্রণ জানান। দেশটির পার্লামেন্টের বাইরে অনুষ্ঠিত ওই র্যালিতে সরকারের অবস্থান পরিবর্তনেরও আহ্বান জানানো হয়।
হাঙ্গেরির বুদাপেস্ট, আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন, নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগসহ ইউরোপের বিভিন্ন শহরে র্যালিতে জড়ো হয় হাজারো জনতা। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতেও শরণার্থীদের আশ্রয়ের আহ্বান জানিয়ে র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার বিরুদ্ধে পোল্যান্ডের ওয়ারশো, চেক প্রজাতন্ত্রের প্রাগু, স্লোভাকিয়ার ব্রাতিসলাভায় র্যালি করে কয়েক হাজার জনতা।
ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শরণার্থী নিচ্ছে জার্মানি। শনিবার দেশটির মিউনিখে আরও ৯ হাজার শরণার্থী প্রবেশ করেছে।
যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে আগামী পাঁচ বছরে ২০ হাজার শরণার্থী নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ডেনমার্ক চলতি বছর ২০ হাজার শরণার্থী নিতে পারে। গত বছর দেশটি ১৪ হাজার শরণার্থী নেয়।
সুইডেন গত বছর প্রায় ৮০ হাজার শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়। চলতি বছরও দেশটি একই পরিমাণ শরণার্থীকে আশ্রয় দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সূত্র: বিবিসি, আল জাজিরা
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস