আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন চলছে। শেষ দফা ভোটের আগের দিন রাজ্যটির রাজধানী লখনউয়ে পুলিশ–জঙ্গির গুলির লড়াই শুরু হয়েছে। বিশেষ সূ্ত্রে খবর পেয়ে উত্তর প্রদেশ পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখা (এটিএস) লখনউয়ের হাজি কলোনি ঠাকুরগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালায়। সেখানেই এক আইএস জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর পায়। খবর এএনআইয়ের।
পুলিসের হাত ফস্কে স্থানীয় একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয় ওই জঙ্গি। সেখান থেকেই পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে। পাল্টা গুলি চালায় পুলিশও। সাইফুল নামে ওই জঙ্গির আইএসের সদস্য বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এছাড়াও ভোপাল–উজ্জয়িনী ট্রেন বিস্ফোরণের ঘটনায় এই জঙ্গি জড়িত রয়েছে বলে সন্দেহ করছেন এটিএস গোয়েন্দারা। মঙ্গলবারই মধ্যপ্রদেশের জাবদি স্টেশনের কাছে ভোপাল–উজ্জয়িনী ট্রেন বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত হয় ৮ জন।
সন্ত্রাস দমন স্কোয়াড (এটিএস) সূত্রের খবর, বাড়িটিতে সাইফুল একা রয়েছে, আর কোনও জঙ্গি নেই। তার কাছে প্রচুর অস্ত্র ও কার্তুজ রয়েছে। উত্তরপ্রদেশ এটিএসের আইজি অসীম অরুণ জানান, ‘ওই জঙ্গি নিজেকে ঘরের মধ্যে বন্ধ করে রেখেছে। বাড়ির প্রথম তলায় রয়েছে জঙ্গিটি। ঘরের মধ্যে থেকে মাঝে মাঝেই গুলির আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের ওপর নির্দেশ রয়েছে তাকে জীবিত অবস্থায় গ্রেপ্তার করার। আমরা ক্রমাগত তাকে বাইরে নিয়ে আসার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতির প্রয়োগ করে যাচ্ছি। আমরা চাই ওই জঙ্গি আত্মসর্মপণ করুক।’
সূত্রের খবর, পুলিশ যখন সাইফুলকে আত্মসর্মপণের জন্য বলে তখন ওই জঙ্গি তা প্রত্যাখ্যান করে জানায় যে সে শহিদের যন্ত্রণা ভোগ করতে চায়। ভোপাল–উজ্জয়িনি ট্রেন বিস্ফোরণ কাণ্ডে ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রদেশ থেকে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। কানপুরে ধৃত এক যুবককে জেরা করেই সাইফুলের হদিস পায় ইউপি এটিএস।
আপাতত এলাকাটি ঘিরে ফেলে ২০ জনের কমান্ডো বাহিনী অপারেশন চালাচ্ছে। উত্তর প্রদেশ এটিএসের আইজি নেতৃত্ব দিচ্ছেন অভিযানের। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে কমান্ডোরা। পুরো বিষযটি নিয়ে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব।
০৭ মার্চ ২০১৭/এমটি নিউজ২৪/এসএস