বুধবার, ০৩ মে, ২০১৭, ০৪:২৫:৪৬

আজান ইসলামের অঙ্গ, লাউডস্পিকার নয় : আদালত

আজান ইসলামের অঙ্গ, লাউডস্পিকার নয় : আদালত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আজানের শব্দে ঘুম ভাঙা নিয়ে টুইটে করে বিতর্কের কেন্দ্রে এসেছিলেন গায়ক সোনু নিগম। রীতিমতো ফতোয়া জারি হয়েছিল তার বিরুদ্ধে। জবাব দিয়ে, নিজেই মাথা কামিয়েছিলেন সোনু। এবার তাঁর মন্তব্যকেই সমর্থন করলো পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, আজান ইসলামের অঙ্গ। কিন্তু তার জন্য লাউডস্পিকার বাজানো বাধ্যতামূলক নয়। কোনওভাবেই তা ইসলামিক রীতির মধ্যে পড়ে না।

টুইটের কারণেই সোনুর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়েছিল। অভিযোগকারী আস মহম্মদের দাবি ছিল, টুইটে গুন্ডাগর্দি শব্দের ব্যবহার অপমানজনক। সোনুর টুইট ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি এমএমএস বেদি জানান, পুরো অভিযোগটাই সস্তা প্রচার পাওয়ার জন্য করা হয়েছে। টুইটে সোনু যা বলেছেন তা ভাল করে পড়লেই বোঝা যায় গুণ্ডাগর্দি শব্দটি তিনি কোনও ধর্মের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেননি। কখওনই তা আজান সম্পর্কিত নয়। বরং লাউডস্পিকার ও অ্যাম্প্লিফায়ার ব্যবহারের বিরুদ্ধেই।

এরপরই আদালত জানায়, আজান নিঃসন্দেহে ইসলামিক রীতির অঙ্গ। কিন্তু লাউডস্পিকার নয়। অন্য এক মামলার উল্লেখ করে বিচারপতি বলেন, ধর্মস্থানে লাউডস্পিকার ব্যবহারের যৌক্তিকতা নিয়ে আগেও প্রশ্ন উঠেছে ও আলোচনা হয়েছে। এবং সেক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, কোনও ধর্মই লাউডস্পিকারের ব্যবহারকে সমর্থন করে না। বা কোনও ধর্মেই এরকম কোনও কথার উল্লেখ নেই। সোনুর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছিল তা নস্যাৎ করে বিচারপতি বলেন, এ আসলে একজন গায়ককে ধর্মের নামে বলি দেওয়া। পুরো ব্যাপারটাই সস্তা প্রচার পাওয়ার জন্য করা হয়েছে বলেও কড়া ধমক দেন তিনি।

কোনও ধর্মের বিরোধিতা যে তিনি করেননি এ কথা বারবার বলেছিলেন সোনু। কিন্তু তাঁর টুইট ঘিরে এমন বিতর্ক তৈরি হয়েছিল যে, কেউ তাঁর কথায় প্রায় কর্ণপাতই করেনি। তার উপর আবার জারি হয়েছিল ফতোয়া। তা সত্ত্বেও সোনু জানিয়েছিলেন, ধর্মস্থানে লাউডস্পিকার ব্যবহার কখনওই ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা হতে পারে না। সে সময় কেউ তা না শুনলেও আদালতের এই পর্যবেক্ষণ সোনুর মতকেই মান্যতা দিল।
৩ মে, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে