শুক্রবার, ২৬ মে, ২০১৭, ০৬:১৮:৩২

স্ত্রীকে খুন করে বাড়ির উঠোনেই পুঁতে দিল স্বামী

স্ত্রীকে খুন করে বাড়ির উঠোনেই পুঁতে দিল স্বামী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নিজের স্ত্রীকে সন্দেহের বশে খুন করে বাড়ির উঠোনে পুঁতে দিল স্বামী৷ ঠান্ডা মাথায় খুনের পর নিজে বাড়িওয়ালাকে ফোনে স্ত্রীকে খুনের কথা কবুলও করেছে সে৷ পাশাপাশি থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করবে বলেও জানিয়েছে৷ চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর থানা এলাকার বেনাচিতির উত্তরপল্লিতে৷

অভিযুক্ত শেখ হায়দারের বাড়ি বীরভূমের নানুরে৷ বেনাচিতির উত্তরপল্লির বাসিন্দা তরুণ রায়ের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন সে তার স্ত্রী রিনা বেগম৷ দীর্ঘ চোদ্দো বছর ধরে ভাড়া ছিলেন দু’জনে৷ প্রতিবেশীদের কথায়, পেশায় রাজমিস্ত্রি হায়দার তার স্ত্রী রিনা বেগমকে সন্দেহ করত৷ এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর সঙ্গে মাঝেমধ্যেই সাংসারিক অশান্তি লেগে থাকত৷

অভিযোগ, সেই সন্দেহের বশেই গত বুধবার রাতে স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে হায়দার৷ তারপর ঠান্ডা মাথায় বাড়ির উঠোনে পুঁতে দেয় মৃতদেহ৷ সেইসময় নিজের ছেলে ও মেয়েকে কীর্ণাহারে শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিল হায়দার৷ ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল হায়দার৷ কিন্তু গত বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির মালিক তরুণ রায়কে ফোনে হায়দার নিজেই স্ত্রীকে খুন করে বাড়ির উঠানে পুঁতে রাখার কথা জানায়৷

সেইসঙ্গে নিজেই খুনের কথা স্বীকার করে দুর্গাপুর থানায় আত্মসমর্পণ করবে বলেও জানায় হায়দার৷ ফোনে ভাড়াটের এই নৃশংসতার কথা শুনে স্তম্ভিত তরুণবাবু দুর্গাপুর থানায় যোগাযোগ করেন৷ শুক্রবার সকালে দুর্গাপুর থানার পুলিশ তরুণবাবুর বাড়ির উঠানের মাটি খুঁড়ে হায়দারের স্ত্রী রিনা বেগমের দেহ উদ্ধার করে৷ বাড়ির মালিক তরুণ রায় থানায় পুরো ঘটনার লিখিত বিবরণ জমা দিয়েছেন৷ মৃতার মাথায় গভীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে৷

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, হায়দার স্ত্রীকে প্রথমে মাথায় আঘাত করে পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে৷ যেখান থেকে রিনা বেগমের দেহ উদ্ধার হয়েছে সেখানে একটি রক্তমাখা ছুরি, একটি শাবল, লু্ঙ্গি ও বোরখাও উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ নৃশংস এই খুনের ঘটনা ঘিরে বেনাচিতি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷
২৬ মে, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে