বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন, ২০১৭, ০৪:২৮:২২

গোমাংস খেয়ে অধিবেশনে গেলেন সাংসদরা, ভারতজুড়ে তোলপাড়

গোমাংস খেয়ে অধিবেশনে গেলেন সাংসদরা, ভারতজুড়ে তোলপাড়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাজ্য সরকারের অধিবেশনের আগে গোমাংস খেয়ে প্রাতরাশ সারলেন নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। ভারতের কেরালা রাজ্যের বিধানসভার ঘটনা। গোমাংস নিষিদ্ধে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা করতে বৃহস্পতিবার কেরালা বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছিল। সকাল সকালে পৌঁছে গেলেও, প্রথমেই আলোচনা কক্ষে ঢোকেননি নির্বাচিত সাংসদরা।

বরং একে একে বিধানসভার ক্যান্টিনে ভিড় জমান। ভাপা বিফ খেয়ে প্রথমে বউনি করেন তিরুঅনন্তপুরম থেকে ২৮৫ কিলোমিটার দূরে দেবীকুলমারে সিপিএম এমপি এস রাজেন্দ্রণ। একে একে সকলের পাতে এসে পড়ে গোমাংসের নানা পদ। তবে বিফ ফ্রাইয়ের চাহিদাই ছিল সবচেয়ে বেশি। পেটপুরে ‘‌বিফ ফ্রাই’‌ খেয়ে তবেই আলোচনা কক্ষের দিকে পা বাড়ান সাংসদরা।

ক্যান্টিনের এক কর্মী জানিয়েছেন, ‘‌কাজের দিনগুলিতে সাধারণত বেলা ১১টার পরই গোমাংসের পদ পরিবেশন করা হয়। কিন্তু আজ যেহেতু গোমাংস নিয়েই আলোচনা ছিল, তাই সাত সকালে বাজারে গিয়ে ১০ কেজি গোমাংস কিনে এনেছিলাম। অধিবেশনে যোগ দেওয়ার আগে বেশরভাগ বিধায়কই ক্যান্টিনে এসেছিলেন। বিফ ফ্রাই খেয়ে তবেই আলোচনাসভায় যোগ দেন।’‌

অধিবেশন শুরু হলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেন, ‘‌গোমাংসে নিষেধাজ্ঞা জারি করে মানুষের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করেছে সরকার। মানুষ কী খাবেন আর কী খাবেন না কেন্দ্র ঠিক করে দেবে নাকি?‌ এতে শুধু কেরলই নয়, সমগ্র দেশের ওপর প্রভাব পড়বে।’‌

জবাইয়ের উদ্দেশে হাটে, বাজারে গবাদি পশু কেনা–বেচা চলবে না বল গত মাসে বিজ্ঞপ্তি জারি করে নরেন্দ্র মোদি সরকার। কেরল সহ তামিলনাড়ু, কর্নাটক এবং উত্তরের কিছু রাজ্যে এই নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখান বিরোধী দলগুলি।

কেরালার বিভিন্ন জায়গায় গোমাংস ভক্ষণ উৎসবের আয়োজন করা হয়। সেই নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়ে বিধানসভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা স্থির হয়েছিল। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি লিখে সরকারি সিদ্ধান্তে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন পিনারাই বিজয়ন।
জুন, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে