আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন পাকিস্তানে যে মার্কিন বিশেষ অভিযানে নিহত হয়েছিলেন, সেই অভিযানের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, লাদেনকে ‘নিঃসন্দেহে’ জীবিত গ্রেপ্তার করা যেত।
ইউএস স্পেশাল অপারেশনস কমান্ডের সাবেক প্রধান অ্যাডমিরাল উইলিয়াম ম্যাকর্যাভেন বলেন, পাকিস্তানের যেই বাড়িতে লাদেন পরিবার নিয়ে থাকতেন, সেখানে অভিযানটি ‘কেবল হত্যা’ অভিযান ছিল না।
উইলিয়াম ম্যাকর্যাভেন বিবিসির নিউজ নাইট অনুষ্ঠানে বলেন, ‘২০১১ সালে পরিচালিত ওই অভিযান নিয়ে আমরা যেমন পরিকল্পনা করেছিলাম, সেটি এর মোটামুটি কাছাকাছি হয়। অনেকে ভেবে থাকেন, এটা কেবল হত্যা অভিযান ছিল, কিন্তু ঘটনা তা নয়।’
অ্যাডমিরাল ম্যাকর্যাভেন বলেন, কোনো অভিযান করার সময় সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতির জন্যও প্রস্তুত থাকতে হয় তাঁদের। সে জন্য অ্যাবোটাবাদের অভিযানেও তাঁদের এ, বি, সি ও ডি—এই চারটি পরিকল্পনা ছিল। অভিযানের নিয়ম হলো, হুমকি না থাকলে কাউকে হত্যা করা যাবে না, গ্রেপ্তার করতে হবে।
আর এ কারণেই তাঁদের দ্বিতীয় পরিকল্পনার দিকে এগোতে হয়। উল্লেখ্য, ২০১১ সালের মে মাসে মার্কিন কমান্ডো হামলায় পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে লাদেন নিহত হন।
মার্কিন কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, লাদেনের একজন আস্থাভাজন মার্কিন কমান্ডোদের গুলি করতে থাকেন। পরে লাদেনের স্ত্রী, ভাই ও তাঁর এক ছেলে খালিদসহ আস্থাভাজনদের হত্যা করা হয়। অভিযানের একপর্যায়ে লাদেন গুলিবিদ্ধ হওয়ার আগে ভবনটির ৪র্থ তলার একটি করিডরে তাঁকে প্রায় ২০ মিনিট দেখা যায়।
তখন তাঁকে জীবিত ধরা সম্ভব ছিল কি না—এই প্রশ্নের জবাবে অভিযানের দায়িত্বে থাকা কমান্ডার উইলিয়াম ম্যাকর্যাভেন বলেন, ‘নিঃসন্দেহে।’ ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিডেন্ট ছিলেন বারাক ওবামা। অ্যাবোটাবাদের অভিযানে লাদেন নিহত হওয়ার পর ওবামা বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি, যদি আমরা লাদেনকে জীবিত গ্রেপ্তার করতে পারতাম, আমি রাজনৈতিকভাবে শক্ত অবস্থানে থাকতাম।’
এমটিনিউজ২৪/এম.জে