মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই, ২০১৭, ১১:৫০:৪৮

পবিত্র আল আকসা মসজিদ ইহুদিদের দখল থেকে মুক্ত করতে লড়াইয়ের আহ্বান সৌদি প্রিন্সের

 পবিত্র আল আকসা মসজিদ ইহুদিদের দখল থেকে মুক্ত করতে লড়াইয়ের আহ্বান সৌদি প্রিন্সের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসলামের প্রথম কিবলা পবিত্র আল আকসা মসজিদে নামাজ আদায়ে প্রায় মাসখানেক ধরে ইসরায়েলি বিধিনিষেধের কবলে পড়ছেন মুসল্লিরা। ২১ জুলাই ২০১৭ শুক্রবার জুমার নামাজের পর ইসরায়েলি বাহিনী ও অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের হামলায় হতাহত হন অর্ধসহস্রাধিক ফিলিস্তিনি। এমন পরিস্থিতিতে আল আকসা মসজিদকে দখলদারদের কবল থেকে মুক্ত করতে প্রতিরোধ লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়েছেন এক সৌদি প্রিন্স। ওই প্রিন্সের নাম আবদুলআজিজ বিন ফাহাদ। তার বাবা ছিলেন সৌদি আরবের সাবেক রাজা ফাহাদ বিন আবদুলআজিজ।

টুইটারে দেওয়া সিরিজ পোস্টে বিশ্ব মুসলিম ও আরবদের আল আকসার জন্য এই লড়াইয়ের আহ্বান জানান সৌদি রাজপরিবারের সদস্য আবদুলআজিজ বিন ফাহাদ।

এক টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘সামর্থ্য অনুযায়ী প্রত্যেক মুসলিম ফিলিস্তিনে এবং পবিত্র আল আকসা মসজিদে আমাদের ভাইদের সমর্থন করতে বাধ্য। হে মুহাম্মাদের জাতি, তাদের দেখিয়ে দাও তোমরা কারা। আল আকসাকে অবহেলা করাটা হবে অসম্মানজনক। সৃষ্টিকর্তা আমাদের কাছে এর জবাব চাইবেন।’

অন্য এক টুইটে এ সৌদি প্রিন্স লিখেছেন, হে মুহাম্মাদের জাতি, আমাদের তৃতীয় কিবলা দখলদারদের হাতে বন্দি। আমাদের মধ্যে কী কোনও প্রজ্ঞাবান ব্যক্তি নেই? আসুন লড়াই করি। আমাদের বিজয়ী হয়ে এই পবিত্র ঘরের সংরক্ষণ করতে হবে। আর সে লড়াইয়ে ব্যর্থ হলেও আমাদের রব আমাদের ক্ষমা করবেন।

নিজের পিতা সৌদি আরবের সাবেক রাজা ফাহাদ বিন আবদুলআজিজ-এর ভাষণের একটি ভিডিও ফুটেজও প্রকাশ করেছেন আবদুলআজিজ বিন ফাহাদ। হোয়াইট হাউস সফরকালে দেওয়া ওই ভাষণে ফিলিস্তিন ইস্যুর সমাধান খুঁজে বের করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন সৌদি রাজা।

জেরুজালেমের পবিত্র আল আকসা মসজিদে নামাজ পালনে ইসরায়েলি বিধিনিষেধ এবং মুসল্লিদের ওপর ইহুদিবাদী তাণ্ডবের ঘটনায় এরইমধ্যে নিন্দা জানিয়েছে তুরস্ক ও ইন্দোনেশিয়া। দুনিয়াজুড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুসলিমরা আল আকসা মসজিদ ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি নিজেদের সংহতির জানান দিচ্ছেন। তবে এ ইস্যুতে এখনও পর্যন্ত দুই পবিত্র মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণকারী দাবিদার সৌদি রাজপরিবারের পক্ষ থেকে কোনও জোরালো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান বলেছেন, আল আকসা মসজিদে যেকোনও মুসলিমের প্রবেশে ইসরায়েলের নিষেধাজ্ঞা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ইসলামি নিদর্শন রক্ষা করা এবং জেরুজালেম ও আল আকসার পবিত্রতা রক্ষা করা দুনিয়ার সব মুসলিমের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।

উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালে যখন ইসরায়েল এই এলাকায় প্রবেশাধিকার পায় তখন শুধু মুসলিমরাই আল-আকসায় নামাজ পড়তে পারতো। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় প্রার্থনার সুযোগ পেত ইহুদিরা। মেনে চলতে হতো অনেক নিয়ম। বিগত ৫০ বছরে এই চিত্র অনেকটাই পাল্টে গেছে। আর ইসরায়েল এখন আল আকসার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

২০ জুলাই ২০১৭ বৃহস্পতিবার আল আকসা মসজিদে প্রবেশে ইসরায়েলি বিধিনিষেধ নিয়ে কথা বলেন ইসরায়েলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গিলাদ এরদান। ইসরায়েলি আর্মি রেডিও’কে তিনি বলেন, আল  আকসায় প্রবেশে যে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে; গত এক সপ্তাহে এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে কোনও প্রতিবাদ এমনকি কোনও নিন্দাও আসেনি।- মিডল ইস্ট মনিটর
এমটিনিউজ২৪ডটকম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে