বিরিয়ানি খাওয়াতে টেন্ডার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিরিয়ানি মানেই খাবারের মাঝে বাড়তি একটি মাত্রা যাগ হওয়া। আর নতুন অনুষ্ঠানে বিরিয়ানি না হলে তো জমেই না। তাই এবার অনুষ্ঠানে চিকেন বিরিয়ানি খাওয়াতে রীতিমতো টেন্ডার ডাকা হলো। ১৮ নভেম্বর ভারতে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পঞ্চায়েত দপ্তরের 'আনন্দধারা সম্মেলন' অনুষ্ঠানে খাওয়ানো হবে প্রায় ১৮ হাজার প্যাকেট বিরিয়ানি৷ আর তাই এই উদ্ধেগ নিয়েছেন ভারত সরকার। বিরিয়ানির গুণগতমান নিয়ে বিন্দুমাত্র সমঝোতায় আসতে নারাজ অনুষ্ঠানের কর্মকর্তারা৷ তাই কলকাতার নামীদামি রেস্তোরাঁগুলি থেকে সিল করা খামে বিরিয়ানির প্রস্তাবিত দরদাম উল্লেখ করে টেন্ডারের কাগজ জমা দিতে বলল ভারত সরকার৷ আগামী সপ্তাহেই টেন্ডার খুলে দেখা হবে, সরকারি হিসেব অনুযায়ী কোন কোন সংস্থার দেওয়া দরদাম 'যুক্তিযুক্ত'৷ সেই অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট রেস্তোরাঁয় বিরিয়ানি সরবরাহের অর্ডার দেবে রাজ্য সরকার৷ ওই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীরও উপস্থিত থাকার কথা৷
বস্তুত প্রশাসনিক স্বচ্ছতা দেখাতেই ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট রুরাল লাইভলিহুড মিশনের প্রোকিওরমেন্ট অফিসার এ বি দুয়ারি পঞ্চায়েত দপ্তরের ওয়েবসাইটে ১৬ অক্টোবর একটি নির্দেশিকা জারি করে চিকেন বিরিয়ানির টেন্ডার ডেকেছেন৷ তাতে বলা হয়েছে, 'নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আনন্দধারা সম্মেলনের জন্য সিল করা খামে চিকেন বিরিয়ানির দাম উল্লেখ করে স্থানীয় নামী রেস্তোরাঁগুলির কাছ থেকে টেন্ডার আহ্বান করা হচ্ছে৷ বিধাননগরে মিশনের দপ্তরে রাখা টেন্ডার বক্সে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সেগুলি জমা করতে হবে৷ যাবতীয় কর ও পরিবহণ খরচ যোগ করেই টেন্ডারে চিকেন বিরিয়ানির দাম উল্লেখ করতে হবে৷'
শনিবার দুয়ারি বলেন, 'স্বচ্ছতার শর্ত রক্ষা তো বটেই, তা ছাড়া কোনও ভাবেই আমরা খাবারের গুণমানে সমঝোতা করতে চাইনি৷ প্রতিটি প্যাকেটেই যাতে ডিম থাকে, তার চেষ্টা হচ্ছে৷ জেলা থেকে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির প্রায় ১৫ হাজার প্রতিনিধি এতে অংশ নেবেন৷ পুলিশ-স্বেচ্ছাসেবক এবং জেলা থেকে আসা বাস-গাড়ির চালক মিলিয়ে আরও প্রায় তিন হাজার মানুষ থাকবেন৷ ঝুঁকি না-নিয়ে টেন্ডারের মাধ্যমে বিরিয়ানির বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে৷ কোনও ক্যাটারিং সংস্থা নয়, সিরাজ, আমিনিয়া, আলিবাবা বা সাবিরের মতো নামী রেস্তোরাঁগুলিকে টেন্ডারে অংশ নিতে বলা হয়েছে৷ অন্যরাও থাকছে৷ আমরা চাই ১২০-১৩০ টাকার মধ্যে প্রতি প্যাকেট বিরিয়ানির দাম সীমাবদ্ধ থাকুক৷ প্রয়োজনে একাধিক রেস্তোরাঁকে বরাদ্দ দেওয়া হবে৷'
১৮ নভেম্বর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সরকারি অনুষ্ঠানে যে রীতিমতো রাজকিয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে, তা প্রস্তুতিপর্বের আয়োজন দেখেই বুঝা যাচ্ছে। যেমন, ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট রুরাল লাইভিলিহুড মিশনের কর্মকর্তা ও সিইও চোতেন ডি লামা ১৮ সেপ্টেম্বর রাজ্যের সব জেলা প্রশাসক ও জেলা মিশন কর্মকর্তাদের লেখা চিঠিতে মনে করিয়ে দিয়েছেন, 'মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর উত্সাহেই এই সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে৷ এই অনুষ্ঠানটি সাফল্যমণ্ডিত করতে জেলাগুলিকে এগিয়ে আসতে হবে৷
দূরবর্তী জেলাগুলি থেকে প্রতিনিধিদের ১৭ নভেম্বরের মধ্যেই কলকাতায় পৌঁছতে হবে৷ তাদের ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র ও যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে রাখা হবে৷ জেলা থেকে আসা বাসগুলিতে পানীয় জলের ব্যবস্থা যেন থাকে৷ তাদের খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থার দিকেও নজর রাখতে হবে৷ ভালো কাজ করেছে, এমন ১০০০টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে অনুষ্ঠানে তিন লাখ করে টাকা দেওয়া হবে৷ আড়াই লাখ করে আর্থিক সহায়তা পাবে ৫৩টি স্বেচ্ছাসেবী মহাসঙ্ঘ৷ ওই দিন ওই প্রকল্পের উপর একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ফিল্মও উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী৷ ২০টি স্টলে বিভিন্ন জেলার সাফল্যের খতিয়ানও তুলে ধরা হবে৷'-এই সময়।
১ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই
�