আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের মাদ্রাসাগুলিতে জাতীয় সংগীত গাওয়া ও পতাকা উত্তোলনের সরকারি নির্দেশ নিয়ে বিতর্ক উসকে দিলেন উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টি নেতা মাভিয়া আলি। সোমবার তিনি বলেন, “আমরা আগে মুসলিম পরে ভারতীয়। তাই এধরনের নির্দেশের কাছে মাথা ঝোঁকাব না।”
উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে দেওবান্দ থেকে নির্বাচনে লড়েছিলেন মাভিয়া আলি। হেরে যান বিজেপি প্রার্থী ব্রিজেশ সিংয়ের কাছে। স্বাধীনতা দিবস পালন নিয়ে রাজ্যটির যোগী আদিত্যনাথ সরকারের নির্দেশের কড়া সমালোচনা করলেন তিনি। এই নির্দেশকে ইসলাম বিরোধী বলে অভিহিত করেন মাভিয়া আলি।
মাভিয়া বলেন, “আমরা উত্তরপ্রদেশ সরকারের এমন নির্দেশের সামনে মাথা নোওয়াতে রাজি নই। এটা মনে করিয়ে দিতে চাই, আমরা আগে মুসলিম, পরে ভারতীয়। যদি ইসলামের বিরুদ্ধে কোনও কিছু করা হয়, তাহলে আমরা ছেড়ে কথা বলব না। দরকার হলে সংবিধানের বিরুদ্ধেও যেতে পিছপা হব না।”
তবে মাভিয়া আলির এমন মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক নতুন কিছু নয়। এর আগে ২০১৫ সালে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতা সাধ্বী প্রাচীকে নিয়ে কটূক্তি করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, “সাধ্বী প্রাচীর মতো কেউ মারা গেলে, কারও কোনও ক্ষতি কিছু হবে না।”
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে সমস্ত মাদ্রাসাগুলিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পাশাপাশি জাতীয় সংগীত গাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এমনকী জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সেই দৃশ্যের ছবি ও ভিডিওগ্রাফি করতে হবে বলে মাদ্রাসা শিক্ষা পরিষদ নির্দেশ দেয়।
বলা হয়, সেই ছবি ও ভিডিও পাঠাতে হবে বোর্ড চেয়ারম্যানকে। এই নিয়েই বিতর্ক দেখা দেয়। এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে উত্তরপ্রদেশের সংখ্যালঘু উন্নয়নমন্ত্রী লক্ষ্মীনারায়ণ চৌধুরি বলেন, “ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে দেশাত্মবোধ ছড়িয়ে দিতে ও স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সম্পর্কে পরিচিতি প্রদান করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
এমটিনিউজ/এসএস