শনিবার, ০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ০৮:৪৪:২৮

হানিপ্রীত আমাকে বিশেষ ম্যাসাজ না করলে আমি মরে যাব : আর্তি রামরহিমের

হানিপ্রীত আমাকে বিশেষ ম্যাসাজ না করলে আমি মরে যাব : আর্তি রামরহিমের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সম্ভ্রমহানীর দায়ে সাজাপ্রাপ্ত গুরমিত রাম রহিমের নিত্যনতুন আবদারে জেলকর্তারা কার্যত তিতিবিরক্ত। কখনও জেলের খাবার তার মুখে রোচে না কখনও আবার পোশাক পছন্দ হয় না। শুধু তাই নয়, সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের কাছে ‘বাবা’র আরজি, ‘হানিপ্রীতকে আমার সঙ্গে থাকতে দিন।’

রাম রহিমের বক্তব্য, ‘ও আমার বিশেষ খেয়াল রাখে। ও আমাকে বিশেষ ম্যাসাজ করে দেয়। ফিজিওথেরাপিতে ওর দখল রয়েছে। ও ম্যাসাজ না করে দিলে আমি মরে যাব।’ যদিও আদালত গুরমিতের এই দাবিতে কোনও গুরুত্ব দেয়নি।

সময় যত গড়াচ্ছে, গুরমিতের সঙ্গে তার দত্তক কন্যা হানিপ্রীতকে নিয়ে নিত্যনতুন বিতর্কিত তথ্য উঠে আসছে। পুলিশ জানতে পেরেছে, দুই মহিলাকে সম্ভমহানী দোষে আদালত গুরমিতকে শাস্তি দিচ্ছে শুনেই তাকে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে হানিপ্রীত। তার বিরুদ্ধে হরিয়ানা পুলিশ লুকআউট নোটিস জারি করে।

হানিপ্রীতের বিরুদ্ধে রাম রহিমের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার স্বামী। অভিযোগ, তিনি দুজনকে একসঙ্গে অপ্রীতিকর অবস্থায় দেখতে পেয়েছেন রাম রহিমের গোপন গুহায়। অবশ্য ‘বাবা’র মতো মেয়েও একযোগে আদালতকে আরজি জানান, তাদের একসঙ্গে থাকতে দেওয়া হোক। আইনজীবীর মাধ্যমে হানিপ্রীত একটি পিটিশনও জমা দেন, যদিও আদালত সেই দাবি গ্রাহ্য করেনি।

যদিও ‘গুণধর’ এই বাবা-মেয়েকে একসঙ্গে থাকতে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল খোদ পুলিশের বিরুদ্ধেই। সুনারিয়া জেল থেকে রোহতকের জেলে গুরমিতকে নিয়ে যাওয়ার সময় একই হেলিকপ্তারে তাদের দেখতে পাওয়া যায়। বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রচুর হইচই হওয়ার পর পুলিশ সে কথা অস্বীকার করে।

সুনারিয়ায় পুলিশের গেস্ট হাউসে দু’জনকে একসঙ্গে দেখতে পাওয়া যায়। শেষ পর্যন্ত চাপে পড়ে পুলিশ গুরমিতকে সাধারণ জেলে সরিয়ে নিয়ে যায়। তবে গুরমিতকে শাস্তি দেওয়ার খবর শুনে ডেরা সদস্যদের তাণ্ডবে পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় কার্যত আগুন জ্বলে ওঠে। প্রাণ যায় ৩৫ জনেরও বেশি মানুষের, আহত হন কয়েকশো পুলিশকর্মী।

এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে