আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তীব্র কম্পনে অনুভূত হতেই শুরু হয়েছিল জল্পনা। কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আভাস, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ? কিছুক্ষণের মধ্যেই দক্ষিণ কোরিয়া দাবি করল, উত্তর কোরিয়া পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলেই এই কম্পন। একই আশঙ্কা প্রকাশ করল জাপানও।
তার কিছুক্ষণের মধ্যেই সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে উত্তর কোরিয়া পরমাণু বিস্ফোরণের কথা স্বীকার করে নিল। পিয়ংইয়ং-এর আরও দাবি, এটা ছিল আসলে হাইড্রোজেন বোমা। এ যাবত্ যতগুলি পরমাণু বোমা উত্তর কোরিয়া ফাটিয়েছে, তার মধ্যে এটিই সবচেয়ে শক্তিশালী বলেও পিয়ংইয়ং-এর তরফে দাবি করা হয়েছে।
এই নিয়ে ষষ্ঠবার পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটাল কিম জং উনের সরকার। মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভের মতে, এ দিন কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৩।
উত্তর কোরিয়ার দাবি, এই বোমাকে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে নিক্ষেপ করা সম্ভব। পাশাপাশি, আরও ধংসাত্মক পরমাণু বোমা তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কিম প্রশাসন। নিউক্লিয়ার ওয়েপনস ইনস্টিটিউটে এই হাইড্রোজেন বোমা পরিদর্শনের সময় প্রেসিডেন্ট উন বিজ্ঞানীদের কাজের প্রশংসা করেন এবং তাদের উত্সাহ দেন বলে দাবি করা হয়েছে।
বেশ কয়েক মাস ধরেই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে চলেছে কিম জং উনের সরকার। দিন কয়েক আগেও তিনটি স্বল্প পাল্লার পরমাণু অস্ত্রবাহী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করে উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়া ও মার্কিন বাহিনী যখন যৌথ সামরিক মহড়া চালাচ্ছিল, সেই সময়েও উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল।
কিন্তু, আমেরিকার মসনদে ডোনাল্ড ট্রাম্প আসার পর উত্তর কোরিয়ার পরমাণু পরীক্ষা এই প্রথম। কিম প্রশাসনের ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে ট্রাম্প আগেই উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। তা সত্ত্বেও এ বার হাইড্রোজেন বোমা ফাটিয়ে উত্তর কোরিয়া বুঝিয়ে দিতে চাইল, আমেরিকার সতর্কবার্তায় কান দেওয়ার ইচ্ছা কিম জং-উনের নেই।
এমটিনিউজ/এসএস